সংগ্রামের লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র, চোখ কাজ শুরু করল অন্যের শরীরে, কিডনি ও ত্বক গেল এসএসকেএমে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

১৪ অগস্ট তারিখ রাতে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে কল্যাণী গিয়েছিলেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সংগ্রাম ভট্টাচার্য। ভাটপাড়ার বাসিন্দা বছর একত্রিশের সংগ্রাম ভট্টাচার্য পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গত ১৫ অগস্ট ভর্তি হন অ্যাপোলো হাসপাতালে।

ভাটপাড়ার ছেলে সংগ্রামের বিয়ে হয়েছিল ২ বছর, বাড়িতে আছেন বাবা, মা, দাদা ও স্ত্রী। ১৪ তারিখ কল্যাণী থেকে ফেরার সময় অসাবধানতা বশত তিনি বাইকের স্ট্যান্ড তুলতে ভুলে যান বলে খবর। স্ট্যান্ড স্পিড ব্রেকারে লাগে, সংগ্রাম ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল ঠিকই কিন্তু ফিতে লাগানো ছিল না। সংগ্রাম মাথায় আঘাত পান, কান দিয়ে রক্ত বার হতে থাকে। তাঁকে কল্যাণী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে ১৫ তারিখ ভোরে নিয়ে আসা হয় কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে।

আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, নিজেই জানালেন টুইট করে

রবিবার স্বাস্থ্য ভবনের ব্রেন ডেথ কমিটি অ্যাপনিয়া টেস্ট করে জানিয়ে দেয়, ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছে সংগ্রামের। নিয়ম অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যা পৌনে আটটা নাগাদ চূড়ান্তভাবে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।

পরিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর পরে রোটো (রিজিওনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন)-র মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার নির্নিষ্ট রোগীদের খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই যোগাযোগ করা হয় আগরতলার ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। রাতের ফ্লাইটে দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

কিডনি পাচ্ছেন লিলুয়ার বাসিন্দা ২৯ বছরের এক যুবক। এটিও প্রতিস্থাপন হবে অ্যাপোলোয়। হৃদযন্ত্র পাবে হাওড়ার নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ১৭ বছরের কিশোরী। দুটি কর্নিয়া দান করা হয়েছে দিশা আই হাসপাতালে। অন্য কিডনি ও ত্বক এসএসকেএমে দান করা হয়েছে।

অ্যাপোলো হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার চিকিৎসক জয় বসু বলেন, “যুবকের মৃত্য়ুর পরে পরিবার ভেঙে পড়লেও, অঙ্গদানের বিষয়ে দারুণ ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। এই করোনা সংক্রমণ পর্বে এটা আমাদের কাছেও একটা যুদ্ধের মতোই। কারণ আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই এত বড় প্রতিস্থাপনের কাজটা করছি। সংগ্রামের পরিবারকে ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা নেই। আমাদের তরফে শ্রদ্ধা রইল তাঁদের সিদ্ধান্তের প্রতি।”

আরও পড়ুন : প্রয়াত করোনায় আক্রান্ত এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest