লাদাখে চিনা আগ্রাসন , ডোভাল-রাওয়াতদের নিয়ে জরুরি বৈঠক মোদীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনা আগ্রাসনে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেইসঙ্গে তৎপরতা বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

লাদাখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে এবং সেনাবাহিনীর কৌশল ঠিক করতে প্রথমে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। কূটনৈতিক অবস্থান ঠিক করতে তার পর আলাদা করে বৈঠক করেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ কি আসন্ন? লাদাখে সাঁড়াশি চাপ বাড়াচ্ছে চিনা ফৌজ

প্রধানমন্ত্রীর আগে এ দিন লাদাখ নিয়ে একদফা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেন তাঁরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনাথকে সবিস্তার তথ্য দেন সেনাপ্রধান এমএম নরবণে। লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি পর্যালোচনা করে দেখেন তাঁরা।

সীমান্ত বিবাদ ঘিরে বিগত ২০১৭ সালের ডোকলাম সংকটের পর ফের এক বড় সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে ভারত এবং চিন। আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্ত বিবাদিত সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সত্বেও আগ্রাসী ভূমিকা ত্যাগ করেনি চিন। আর পড়শি দেশের এই মনোভাবে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দু’দেশের সীমান্ত। যার সাম্প্রতিকতম দৃষ্টান্ত পূর্ব লাদাখ। ফলশ্রুতিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্ব লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোলের (LAC) আশপাশের এলাকা। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনাকর্মী মোতায়েন করেছে চিন। একই সঙ্গে বাড়ছে লালফৌজের অস্থায়ী সেনা ছাউনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই এলাকায় প্রতিপক্ষ চিনের থেকে ভারতীয় সেনার শক্তি অনেক বেশি।’ যে কারণে ভারতের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে প্যাংগং সো এবং গালওয়ান উপত্যকায় বাড়ানো হয়েছে জওয়ানের সংখ্যা।

লাদাখে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে পরোক্ষে সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করেছে বিরোধীরাও। মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবিলম্বে দেশের জনগণকে জানানো উচিত মোদী সরকারের। কেন্দ্রের উচিত এই বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

মঙ্গলবারই লাদাখ সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের নারি গানসা বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ চলছে। বিমানঘাঁটির টারম্যাকে সারি দিয়ে চারটি যুদ্ধবিমান দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে একটি ছবিতে। সেগুলি চিনা বাহিনীর জে-১১ এবং জে-১৬ যুদ্ধবিমান হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের, যা কিনা ভারতের সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের সমকক্ষ।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই অসমে হড়পা বানে বিধ্বস্থ ৩০,০০০ মানুষ,নষ্ট ৫৭৯ হেক্টর ফসল

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest