যোগীরাজ্যে গঙ্গার তীরে হাজার হাজার দেহ, ভিড় করছে চিল – শকুনের দল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় বহু মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। এরপর গঙ্গারপারে মিলেছে প্রচুর কবর। মৃতদেহগুলি কোভিড আক্রান্তদের বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই আবহেই গঙ্গা পাড়ে মিলছে প্লাস্টিকে মোড়ানো শবদেহ। কয়েক হাজার দের বালিচাপা দেওয়া। এই দেহগুলিও করোনা আক্রান্তদের বলে মনে করা হচ্ছে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতেই মিলেছে ৮০০টি কবর।

জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যে ২৭ জেলা দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে, সেখানে নদীর তীরে করোনা আক্রান্তদের দেহ কবর দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০০ কবর মিলেছে। উত্তরপ্রদেশে উন্নাও ছাড়া বিজনৌর, মেরঠ, মুজফ্ফরনগর, বুলন্দশহর, হাপুর, আলিগড়, বদায়ুঁ, শাহজাহানপুর, কনৌজ, কানপুর, রায়বরেলী, ফতেপুর, প্রয়াগরাজ, প্রতাপগর, মির্জাপুর, বারাণসী, গাজিপুর, বালিয়াতে এই হৃদয়বিদারক চিত্র দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক কবর মিলেছে উন্নাও, কানপুর, কনৌজ, গাজিপুর এবং বালিয়ায়।

আরও পড়ুন : টিকা কেন বিদেশে গেল? জবাব চেয়ে মোদীর বিরুদ্ধে দিল্লি জুড়ে পোস্টার, গ্রেফতার অন্তত ১২

জানা গিয়েছে, উন্নাওয়ের শুক্লাগঞ্জ ও বক্সার ঘাঁটে মিলেছে ৮০০-রও বেশি কবর। এছাড়া কনৌজের মহাদেবী গঙ্গাঘাটের কাছে ৩৫০-র বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কানপুরের শেরেশ্বর ঘাটে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে ৪০০-র বেশি মৃতদেহ। অনেক জায়গাতেই দেহর উপর থেকে সরে গিয়েছে মাটি। গাজিপুরে গঙ্গার তীরে ২৮০টির বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। কুকুর, শেয়ালে অনেক মৃতদেহ টেনে বের করে নিয়ে আসছে।

কানপুরের শেরেশ্বর ঘাটের কাছে একই ছবি চোখে পড়ছে। যে দিকে চোখ পড়ছে সে দিকেই মৃতদেহ। স্থানীয়রাই বলছেন, ৪০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে। মাটি সরে গিয়ে কিছু মৃতদেহ বেরিয়ে পড়ছে। তার উপর চিল, শকুন গিয়ে বসছে। এর থেকে সংক্রমণ ও দূষণ দুইই ছড়াতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

গাজিপুরে এখনও পর্যন্ত ২৮০টির বেশি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে গঙ্গার তীরে। তার মধ্যে অনেক মৃতদেহ বের করে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছে পুলিশ ও প্রশাসন। কিন্তু প্রায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫টি করে মৃতদেহ সেখানে এসে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে সেই বিষয়ে এখনও প্রশাসনের তরফে কিছু বলা হয়নি।

কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও বিহার বা কখনও মধ্যপ্রদেশ। গত চার-পাঁচদিন ধরে নদীতে মৃতদেহ ভেসে যাওয়া এবং নদীর তীরে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। জানা গিয়েছে, শ্মশনে যত শবদেহ নিয়ে আসা হয়, তার মধ্যে অধিকাংশ দেহ পোড়ানো হয়। বাকি দেহগুলি বালিতে পুঁতে দেওয়া হয়।

পরিবেশবিদরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহের শেষকৃত্যের একটা বিশেষ পদ্ধতি থাকে। এ ভাবে কবর দিলে সেটা শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক তা নয়, সেখান থেকে সংক্রমণও দ্রুত ছড়াতে পারে। তা ছাড়া এই মৃতদেহ গঙ্গায় ভেসে গেলে জলও দূষিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে আরও কড়া ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর মেজো ভাই অসীম, দুপুরে নিমতলায় শেষকৃত্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest