নয়াদিল্লি: কেজরিওয়াল ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কানাঘুষো চলছিল। এবার সেটাই সত্যি হল। দিল্লি BJP সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিনেতা-সাংসদ মনোজ তিওয়ারিকে (Manoj Tiwari)। পরিবর্তে তুলনামূলক লো-প্রোফাইল নেতা আদেশ আদেশ কুমার গুপ্তাকে করা হল রাজ্য সভাপতি।
লোকসভায় সাফল্য পেলেও বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির থেকে ক্ষমতা দখল করতে ব্যর্থ হয় গেরুয়া শিবির। এরমধ্যেই দিল্লির বিভিন্ন নেতাদের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগও প্রকট হচ্ছিল। একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তির কারণ হয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি।
আরও পড়ুন: বুধবার আছড়ে পড়বে ‘নিসর্গ’, জারি লাল সতর্কতা, সাবধান করলেন মোদী
অনেকের মতে কেজরিওয়ালের সাফল্যের পিছনেও ছিলেন রিনকিয়া কি পাপা। বিজেপি যেমন বারবার প্রশ্ন তুলেছে মোদী বিকল্প কে হতে পারে ? রাহুল গান্ধী? সেটা মোদিকে কোথাও প্লাস পয়েন্ট দিয়েছে। ঠিক তেমনি কেজরির বিকল্প হিসাবে মনোজকে মানতে পারেননি কেউই। সেটাই কেজরিকে বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল।
মনোজ তিওয়ারি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার বিজেপির (BJP) টিকিটে সাংসদ হন। ২০১৬ সালে দিল্লির বিজেপি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৭ দিল্লি পুরনিগমের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত সাফল্য পায় গেরুয়া শিবির।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও দিল্লির সবকটি আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা। যদিও তার জন্য মনোজ তিওয়ারিকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এই সাফল্যের একমাত্র কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা এবং বিশেষ ধরনের প্রচার। সেই প্রচারে জাতীয়তাবাদের নাম করে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ প্রচারিত হয়েছিল।
জেপি নাড্ডা (JP Nadda) সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের জল্পনা শোনা যাচ্ছে। দিল্লি বিজেপির এই হাতবদল সেই সাংগঠনিক রদবদলেরই অংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যে আদেশ কুমার গুপ্তাকে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হল, তিনি বিজেপিতে নাড্ডা ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
২০২২ সালেই দিল্লিতে পুরনিগমের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেকথা মাথায় রেখেই ‘পুরনো সৈনিক’ আদেশকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। পদচ্যুত হয়েও নতুন সভাপতিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে বাতিল অম্বুবাচী মেলা, ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ কামাখ্যা মন্দির