শাসক দলের এক বিধায়কের নির্দেশে এক দলিত যুবককে ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি তাঁকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই!
ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরের গোদাবরী জেলায়। থানার মধ্যেই গোটা ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উচ্চবর্ণের এক ব্যক্তির বাইক ভুল করে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন দলিত। আর সেই ‘অপরাধেই’ দিনকয়েক আগে এক দলিত যুবককে বেধড়ক মেরে উলঙ্গ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কর্নাটকে। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার একইরকম নিন্দনীয় ঘটনা ঘটল দেশে। এবার অন্ধ্রপ্রদেশ।
আরও পড়ুন : আধ সেদ্ধ মাছ খাবার বিপত্তি, যুবকের অর্ধেক লিভার খেয়ে নিল মাংসাশী পরজীবী!
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারা প্রসাদ নামে দলিত যুবক এলাকার এক ব্যক্তির শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন। শেষযাত্রার সময় রাস্তায় একটি বালিবোঝাই লরি তাঁরা থামান। যে কারণে রাস্তায় সামান্য যানজটের সৃষ্টি হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা। ভারা প্রসাদকে তিনি গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা। অভিযোগ, এরপরই ওই স্থানীয় নেতা বিধায়কের কাছে ‘অভিযোগ’ জানান।
সূত্রের খবর, বিধায়ক তখন থানায় নির্দেশ পাঠান, ওই দলিতকে ‘উচিৎ শিক্ষা’ দিতে। এমনকী এক ট্রেনি পুলিশকর্মীকে ওই বিধায়ক বলেন, দলিত যুবককে ‘শাস্তি’ দিতে পারলেই চাকরি পাকা। এরপরই ওই পুলিশকর্মী আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম থেকে ভারা প্রসাদ ও আরও দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই অকথ্য অত্যাচার করা হয় ভারাকে, পুলিশের বেল্ট খুলেও মারা হয়। শেষে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয় ভারা প্রসাদকে।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধীরাও সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে ওই তিন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন : শহরেই করোনা আক্রান্ত ২৮, জেলায় একদিনে আক্রান্ত ৫২! ৭ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন বর্ধমানে