The News Nest: লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নিয়েও সতর্ক ভারত। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। চিনের বিস্তারবাদ স্ট্র্যাটেজির মোকাবিলায় ভারত মহাসাগরের ওপরে আন্দামান-নিকোবরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।
করোনাকালে দেশজুড়ে বেশ একটা সাসপেন্স এবং যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। ট্রেনের বেসরকারিকরণ হচ্ছে। কিন্তু এখন সেটা ভাবার সময় নয়। এখন আমাদের চীনের থেকে বাঁচতে হবে। এমনটাই প্রচার করছে মিডিয়া। ফলে কাজ কর্মের ভাবনা ছেড়ে দিয়ে এখন কেবল চীন নিয়ে ভাবতে হবে। তাছাড়া রেশনে তো চাল পাওয়া যাবেই। তাহলে আর চিন্তা কি !
আরও পড়ুন : পরপর ২ দিন করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ছাড়াল ২২,০০০, সুস্থ রোগী ৪ লাখ ছুঁইছুঁই
মোদী বাবু এবং জিনপিংয়ের দোল না নীতি এত দ্রুত খতম হয়ে যাবে ধারণা ছিল না অনেকের। তবে এই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব থাকলে বিজেপিরই পোয়া বারো। দেশের মানুষের কাজের ব্যবস্থা না করে। দিনের পর দিন জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে, একের পর এক সরকারি সংস্থা বেচে দিয়ে কেবল সেন্টুতে সুড়সুড়ি দিয়ে আরামে থাকা যায়।
আন্দামান-নিকোবরে সেনার পরিকাঠামো (military infrastructure development) ও সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বহু দিন ধরেই আটকে ছিল বলে সেনা সূত্রের খবর। কিন্তু লাদাখে চিনের আক্রমণাত্মক ও বিস্তারবাদ মনোবৃত্তির (aggressive and expansionist moves) জন্য এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (Indian Ocean Region) নিরাপত্তা নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
২০০১-এ প্রথম আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই এখনও পর্যন্ত দেশের প্রথম এবং একমাত্র থিয়েটার কম্যান্ড, যেখানে আর্মি, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা একটিই অপারেশনাল কম্যান্ডারের অধীনে রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ড অবহেলার শিকার ছিল বলে অভিযোগ। যথেষ্ট পরিমাণে ফান্ড এই কম্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট করা হত না বলেও অভিযোগ। ভারত মহাসাগরের ওপরে অবস্থানগত বিচারে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এতদিন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু গলওয়ানের সংঘর্ষের পর নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য যে রোল-অন প্ল্যান (“roll-on” plan) নেওয়া হয়েছে, তাতে ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে (phased military force accretion)। আরও যুদ্ধবিমান (warships), নৌজাহাজ (aircraft) ও সেনা এখানে মোতায়েন করা হবে। এই কাজে ৫৬৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। ২০২৭-এর মধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ সম্পুর্ণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এখানে আগামী বছরে যুদ্ধবিমানের পাকাপাকি ঘাঁটি তৈরি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
বিরোধীরা অনেকে বলছেন এই সরকার এটাই করে। এরা একটা যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরী করে। এই শাসক দল কখনও ঘরে শত্রু খোঁজে, কখনও পড়শিদের শত্রু বলে দেগে দেবার চেষ্টা করে। সেই নবন্দি থেকে যে সাসপেন্স তৈরী হয়েছে তা থামবে না। আসলে থামতে দিলে শাসক দলের চলবে না। তাতে বিরোধীরা কর্মসংস্থানের মত মানুষের ইস্যু তুলে আনবে। তার থেকে এটাই ভালো।
আরও পড়ুন : সুন্দরী নয় তাই ধর্ষিত হওয়া সম্ভব নয়! বিচারপতির মন্তব্যে স্তম্ভিত নাগরিক সমাজ…