PM Cares তহবিলে জমা পড়া অর্থ বিপর্যয় মোকাবিলা ত্রাণ তহবিলে পাঠানোর জেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এক এনজিও-র দাখিল করা মামলার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
মামলায় দাবি করা হয়েছে যে, করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় গড়ে ওঠা প্রাইম মিনিস্টারস সিটিজেন অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমারজেন্সি সিচুয়েশনস (PM Cares) তহবিলে যে অনুদান জমা পড়েছে, সে সবই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (NDRF)-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিএসএনএল-এর পর রেল, ৫০০ কোটির বরাত হারাচ্ছে চিনের সংস্থা, অপেক্ষা কেন্দ্রের সিলমোহরের
আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়েছে, PM Cares তহবিল ২০০৫ সালের DM Act-এর আইনি নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদান অবশ্যই NDRF-এর খাতায় যাবে।
পিটিশনে বলা হয়েছে, বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে লড়ার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতা ও পরিধির বাইরে গিয়ে পাব্লিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে PM Cares তহবিল গড়ে তুলে, স্পষ্ট বিধিবদ্ধ বিধানকে লঙ্ঘন করে, অতিমারীর জন্য প্রাপ্ত অনুদান এই তহবিলেই আসছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ১১ নম্বর ধারা সারা দেশে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একটি বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলে। কিন্তু বর্তমানে কোভিড-১৯ -এর মতো বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এমন কোনও জাতীয় পরিকল্পনা নেই। উল্লেখ্য, এই অতিমারীকেও ‘বিপর্যয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। DM Act-এর অধীনে একে রাখার জন্য একাধিক বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
সলিসিটর জেনারেল বিরুদ্ধ যুক্তি পেশ করতে চাইলেও, বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বকারী বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া তলব করেছে। বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে, কেন্দ্রের জবাবের জন্য চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।
পাব্লিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে ২৮ মার্চ PM Cares তহবিল গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় সরকার। যার প্রাথমিক লক্ষ্য হল, কোভিড-১৯ -এর মতো কোনও আপদকালীন বা সঙ্কটজক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথ যাত্রায় স্থগিতাদেশ ,‘অনুমতি দিলে প্রভু জগন্নাথ ক্ষমা করবেন না’ বলল সুপ্রিম কোর্ট