ওয়েব ডেস্ক: যদি সত্যিই দেশবাসীকে ‘আত্মনির্ভর’ দেখতে চান, তা হলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার ভিত্তিতে ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়াবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে চিঠিতে এমনই আর্জি জানালেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সনিয়া লিখেছেন, ‘কোভিড ১৯-এর অর্থনৈতিক প্রভাবে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জীবন-জীবিকা ধুলিসাত্ হয়ে যাচ্ছে, মধ্যবিত্তের আয় দ্রুত কমছে, খারিফ মরসুমেও ধুঁকছেন কৃষকরা, তখন এ ভাবে সরকার কী ভাবে দাম বাড়তে দিচ্ছে, তার কোনও যুক্তি আমি খুঁজে পাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন : ‘অল ইজ ওয়েল’ মন্ত্রে কাজ হল না, লাদাকে কি যুদ্ধের দামামা? শহীদ ভারতীয় সেনা অফিসার ও ২ জওয়ান
সনিয়ার কথায়, ‘গত সপ্তাহে যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৯% কমেছে, সেই অবস্থায় মানুষের দুর্গতির সময়েও তাঁদের থেকে মুনাফা অর্জন করে যাচ্ছে সরকার।’ সনিয়ার দাবি, এ ভাবে দাম বাড়িয়ে ২,৬০,০০ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব ঘরে তুলতে চাইছে সরকার। অপরিশোধিত তেলের মূল্যহ্রাসকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিতে অবিলম্বে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার মুনাফা থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি পেট্রল, ডিজেল ও এলপিজি-র দাম ২০০৪ সালের অগস্ট মাসের দর অনুযায়ী নির্দিষ্ট করার জন্যও কেন্দ্রের কাছে তিনি দাবি জানান। উল্লেখ্য, সেই সময় দিল্লিতে পেট্রলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ৩৬.৮১ টাকা, ডিজেলের দাম ছিল ২৪.১৬ টাকা এবং এলপিজি প্রতি সিলিন্ডার বিক্রি হত ২৬১.৬০ টাকায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে রাহুল অভিযোগ করেন, ‘আপনার সরকার এই সমস্ত জ্বালানির দাম বাড়িয়ে গরিবের পকেট সাফ করে ২,৬০,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই লাভ করে ফেলেছে। দেশজুড়ে অতিমারী আতঙ্কের মাঝে আপনাদের এই হঠকারিতার মাশুল গুনছে কোনঠাসা দেশবাসী।’
আরও পড়ুন : ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করলেন পিনারাই বিজয়ন কন্যা বীনা, পাত্র DYFI প্রেসিডেন্ট মহম্মদ রিয়াস