শ্রীনগর: দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় রবিবার সকাল থেকে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি মারা গিয়েছে।এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ সোপিয়ানের রেবন অঞ্চলে শুরু হয় গুলিযুদ্ধ।
সিআরপিএ মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগাম খবর পেয়ে ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সন্ধানে ভারতীয় সেনা এবং সিএপিএফ-এর যৌথবাহিনী তল্লাশি অভযান শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যে বাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। জবাবে পালটা গুলি চালান বাহিনীর জওয়ানরা। দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ চললেও হতাহতের সবিস্তার খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : ১০ জুন শিবের পুজো , তারপরই শুরু অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাময়িক গুলি চলাচল থামলে ফের তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় তিন জঙ্গির দেহ। সেই সময় আবার গোপন ঘাঁটি থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তাতে এক জওয়ান আহত হয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চালু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, গুপ্ত ঘাঁটিতে এখনও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী হাজির রয়েছে।
কিছু দিন আগে পুলওয়ামা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এক শীর্ষস্থানীয় কম্যান্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ‘ফৌজি ভাই’ নামে পরিচিত মৃত জঙ্গি আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বোমা তৈরির বিষয়ে সে অত্যন্ত দক্ষ ছিল বলেও জানা যায়। দগত সপ্তাহে পুলওয়ামায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণের মূল কারিগরও ছিল এই প্রবীণ সন্ত্রাসবাদী।
শোনা গিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তার লক্ষণ এখনও দেখেননি কেউ। এত জঙ্গি থাকছে কোথায়? আগে শোনা যাচ্ছিল পাক মদতপুষ্ট কিছু রাজনৈতিক দল নাকি এই জঙ্গিদের মদত দেয়। এখন তারাও নেই। কাশ্মীর সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে।তারপর হিংসার ইতি টানা যাচ্ছে না কেন? ‘ভক্ত’ ছাড়া দেশের বহু মানুষের মনে উঠে আসছে এই নির্দোষ প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১০,০০০, স্পেনকে টপকে পাঁচ নম্বরে ভারত