বিজেপি নেতাদের পরিবারে ভিন্ন ধর্মালম্বীকে বিয়ে করলে কি তাকে ‘ লাভ জিহাদ’ বলা হবে? দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভিনধর্মে বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল।
লাভ জিহাদ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস কাজিয়া। মধ্যপ্রদেশের পর উত্তরপ্রদেশ সরকারও লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনতে চলেছে। ইতিমধ্যেই যোগী সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর আইন দফতরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের প্রস্তাবিত আইনের চেয়েও কড়া হতে পারে উত্তরপ্রদেশের আইন। এরই মাঝে কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের তোপ ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটাই বিজেপির তৈরি। ভালোবাসায় কোনও জিহাদ হতে পারে না। বিভাজন করতেই এই আইন আনছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সরকার। এমনটাও অভিযোগ করেছিলেন গেহলটের।
আরও পড়ুন: ‘আমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দিন’, অনুরাগীদের অনুরোধ জায়রার
এবার একই সুর শোনা গেল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের গলাতেও। রবিবার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী সাফ প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি নেতারা বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করাকে লাভ জেহাদ তকমা দিয়েছেন। তাহলে বিজেপি নেতাদের পরিবারের কেউ যদি ভিন ধর্মে বিয়ে করে, তাহলেও কি সেটাকে লাভ জেহাদ বলে ধরা হবে?
বাঘেলের সাফ কথা, ‘অনেক বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করেছেন। খুব স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি নেতা বা তাঁদের সন্তানরা এমন বিয়ে করলে সেটাও কি লাভ জেহাদের মধ্যেই পড়বে?’
বাঘেলের মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অজয় চন্দ্রকর বলেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তাঁর কথায়, ‘সরকার এখনও আইন তৈরি করেনি এবং আইনের খসড়া না পড়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মন্তব্য করা অনুচিত। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অসমীচিন।’
লাভ জিহাদ রুখতে কড়া আইন আনার পথে কেন্দ্রীয় সরকারও। ইতিমধ্যেই এই পথে হেঁটেছে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ বার কড়া আইন প্রণয়ন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করার ভাবনায় মোদী সরকার৷
মোদী সরকার চাইছে কেন্দ্রীয় স্তরে আইন প্রণয়ন করে ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করতে৷ এমনিতে ধর্মান্তরকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আপত্তি নেই৷ ‘ধর্মান্তর করা যেতেই পারে, তবে তা বিয়ের জন্য নয়’, এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সরকারি সূত্রে দাবি, নতুন আইন এলে দেশের যে কোনও প্রান্তে ধর্মান্তরকরণ করা ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হবে তাঁর ধর্মান্তরকরণের সঙ্গে ভিন ধর্মে বিয়ের কোনও সম্পর্ক নেই৷
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দিলে এ বার হতে পারে ৫ বছরের জেল