উত্তর ভারতে গত কয়েক মাস ধরে চলা কৃষি আন্দোলন নিয়ে সারা দেশই বিভক্ত। এরমধ্যে চেন্নাইয়ের একটি স্কুল প্রতিবাদী কৃষকদের হিংস্র উন্মাদ বলে বর্ণনা করেছে। যা নিয়ে আলোড়ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্কুলটি যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দশম শ্রেণির ইংরেজি পেপারে এই শব্দটির উল্লেখ ছিল চেন্নাইয়ের ডিএভি বয়েজ স্কুলে।
দশম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষায় সংবাদপত্রের ‘সম্পাদকের উদ্দেশে চিঠি’ লিখতে বলা হয় পরীক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্রে ওই ঘটনাকে ‘বহিরাগতদের উস্কানিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ’ বলেও উল্লেখ করা হয়। সঙ্গীতঙ্গ টি এম কৃষ্ণ সেই প্রশ্নপ্রত্রটি টুইটারে শেয়ার করেন। প্রশ্নপত্রটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয় রাজধানীতে। লালকেল্লায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়েচে ‘এমন ঘটনা ধিক্কারজনক’, ‘লজ্জার’। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘সম্পাদকের উদ্দেশে চিঠি’ লেখার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে এ ধরনের তাণ্ডব রুখতে কী ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত সে সম্পর্কেও দু’এক কথা লিখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা বানাচ্ছে আম্বানি
This is a sample fm a Class X English paper of a popular Chennai school. The incident and the much larger farm bills issue is still being discussed but here this is being said 'violent maniacs under external instigation' pic.twitter.com/N27ooheHJV
— T M Krishna (@tmkrishna) February 19, 2021
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল ঘটনা কৃষক আন্দোলন। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। এমন একটা সংবেদশীল বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করার কী ভাবে অনুমতি দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কেনই বা স্কুলের পাঠ্যবিষয়ে এমন একটা বিতর্কিত বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করায় ছাড় দেওয়া হল। যদিও এ নিয়ে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নেটাগরিকরা স্কুলের এমন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন।
কেউ কেউ বলেছেন, এদেশের লোকের সমস্যা হল তারা পড়শীর সমস্যাকে গুরুত্ব দেয় না। আগুন নিজের বাড়িতে না লাগলে এরা জলের খোঁজ করে না। সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা সে কথা যেমন জানতেন, তেমনই আজকের ইভিএম শাসসকরাও সেকথা জানে।তারা মানুষকে বোঝায় এটা তোমার সমস্যা নয়। এটা কাশ্মীরিদের সমস্যা। কোনটার বেলায় বলে, এটা মণিপুরীদের সমস্যা। কোনটা বা পাঞ্জাবিদের সমস্যা।কোনটা তামিলদের।কোনটা বা মুসলিমদের।এইভাবে মানুষকে বিভাজন করে ফায়দা তুলতে চেষ্টা করে শাসক দল। সাম্রাজ্যবাদী শাসক দলও সেটাই করেছে।