ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে কেন্দ্রের ২০ হাজার কোটির সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প, চিকিৎসা সংকটে গোটা দেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চিতা জ্বালানোর জায়গা মিলছে না। লোকালয়েই তুলে আনতে হচ্ছে শ্মশান। শ্বাসবায়ুর আকাল দেশজুড়ে।চলছে অক্সিজেন নিয়ে দালালি। হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত রোগীর পরিজনরা। চোখে মুখে উদ্বেগ। আদৌ ফিরবে কি প্রিয়জন। গোটা দেশের এমন ছবি। রাজধানীতে বাড়ছে চিতার সংখ্যা।  চারিদিকে এই থমথমে পরিবেশের মধ্যেও মধ্য দিল্লিতে ঝড়ের গতিতে দৌড়চ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সংসদ ভবন নির্মাণ এবং সংসদ ভবন চত্বরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। এমনকি, রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমণ যে দিন ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই, সেই দিনই তিনটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

শুধু তাই নয়, করোনার প্রকোপে যাতে সৌন্দর্যায়নের কাজ থমকে না যায়, তার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার মতোই নয়া সংসদ ভবন নির্মাণ প্রকল্পকে জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে জাতীয় রাজনীতি তো বটেই, সমাজের প্রায় সব ক্ষেত্রেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আরও পড়ুন: সাত সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্প অসম- উত্তরবঙ্গে! কেঁপে উঠল কলকাতার মাটিও

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে রাজধানী । এই মুহূর্তে ২০ হাজারেরও বেশি দৈনিক সংক্রমণ ধরা পড়ছে। দৈনিক মৃত্যু রয়েছে ৪০০-র আশেপাশে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে অরবিন্দ কেজরি  সরকার।

জরুরি পরিষেবার বাইরে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে সেখানে। কিন্তু ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন যে এলাকা দিল্লির প্রাণকেন্দ্র, সেই এলাকা গমগম করছে রাজমিস্ত্রি, খননকর্মী এবং ট্রাক-লরির আনাগোনায়। কোদাল হাতে ভিত খুঁড়ে চলেছেন একদল শ্রমিক। আর একদল কড়াইতে সেই মাটি মাথায় চাপিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ফেলছেন।

লকডাউনে কাজ বন্ধ নেই কেন জানতে চাইলে, ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ উন্নয়নের কাজ চলছে’ লেখা ব্যারিকেড দেখিয়ে বলেন ‘এখানে কাজ থামবে না।’ উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে কাজ করতে এসেছেন বলে জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতেও বিপুল টাকা খরচ করে নয়া সংসদ ভবনের নির্মাণের মতো ‘বিলাসিতা’ সরকারের সাজে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে ১৬২টি অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে খরচ পড়ছে ২০১ কোটি টাকা। তাই বিরোধীদের প্রশ্ন, শুধুমাত্র নতুন সংসদ ভবনের জন্য যে ৯৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, তা দিয়ে আরও কত অক্সিজেন প্লান্ট বসানো যেত, তা কি ভেবে দেখেছে সরকার?

আরও পড়ুন: ফের ইন্দ্রপতন বাংলা সাহিত্যজগতে! প্রয়াত ‘রহস্য রোমাঞ্চ’ লেখক অনীশ দেব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest