The News Nest: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক বাড়ল বুধবার। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,৯২২ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ।
এই প্রথম দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০০০ ছাড়িয়েছে। এর আগে, বুধবার সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছিল। সেদিন সংখ্যাটা ছিল ১৫,৯৬৮। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৭৩,১০৫।
আরও পড়ুন : সোপোরে এনকাউন্টার, তীব্র গুলিবিনিময়ে মৃত ২ জঙ্গি
চিকিৎসাধীন ১,৮৬,৫১৪ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২,৭১,৬৯৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছে আরও ৪১৮ জনের। এর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪,৮৯৪ জন।
এই পরিস্থিতিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী যাঁদের মধ্যে করোনার সামান্যতম উপসর্গ রয়েছে, তাঁরা যাতে করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর৷
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী-আধিকারিকদেরও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর৷ দেশের প্রতিটি কনটেনমেন্ট জোনে বাধ্যতামূলক ভাবে এই পরীক্ষা করতে হবে৷ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সুবিধা হল, পরীক্ষার জন্য কোনও ল্যাবরেটরির প্রয়োজন নেই এবং ফলও জানা যায় দ্রুত। কিন্তু অসুবিধাও রয়েছে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা পজিটিভ এলে সেই রিপোর্ট ভরসাযোগ্য, কিন্তু কারও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না ।
সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই অন্য পদ্ধতিতে ফের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। তবে, মঙ্গলবার এক দিনে দু’লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন নজির গড়েছে ভারত৷ আইসিএমআর প্রধান অধ্যাপক বলরাম ভার্গবের কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি জেলায় করোনা পরীক্ষার ল্যাব তৈরি করা৷ এখন দেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা এক হাজার৷ একটা ল্যাবরেটরি নিয়ে কাজ শুরু করে এতগুলি পরীক্ষাগার তৈরি করা নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য৷
আরও পড়ুন : ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র