মোদীজির ‘একক সিদ্ধান্ত’ নোটবন্দির সময় থেকে বেহাল দেশের অর্থনীতি। সেই সময় থেকেই বাড়ছে বেকারত্ব। তারপর থেকে মোদী সরকারের অপরিকল্পিত জিএসটি ব্যবসা ক্ষেত্রকে দুর্বল করে দেয়। গত বছর থেকে দেশে শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে গোদের ওপর বিষফোঁড়া আরও মারাত্মক হয়ে উঠল। শুরু হওয়ার পরে দেখা দিয়েছিল বেকারত্বের সমস্যা।
লকডাউন শুরু হওয়ার পরে কাজ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তার জেরে ধাক্কা খেয়েছিল দেশের অর্থনীতি। কিন্তু ফের ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পরে কাজে যোগ দেন অনেকে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার পরে ফের মানুষ কাজ হারাতে শুরু করেছেন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি সমীক্ষায়। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ভারতে ৭০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন : ‘নগরীর নটী’রা ‘হেরে ভূত’! শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীকে আবারও কটাক্ষ, দিলীপ-কৈলাশদের তুলোধনা তথাগতর
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি প্রাইভেট (সিএমআইই) নামের একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, মার্চ মাসে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭.৯৭ শতাংশ।
সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস বলেন, ‘দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে। হতে পারে কিছু রাজ্যে লকডাউনের ফলে এই ঘটনা ঘটছে। যেহেতু সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং প্রশাসন এখন কোভিড মোকাবিলার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে তাই বলা যেতে পারে, মে মাসেও এই অবস্থা চলবে। অর্থাৎ বেকারত্বের পরিমাণ আরও বাড়বে।’
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিতে বেকারত্বের পরিমাণ বাড়ছে। তার একটা কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কর্মীর সংখ্যা কম রাখার জন্য অনেক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করছে। অন্য দিকে, বাইরের রাজ্যে কর্মরত মানুষের একটা অংশ নিজেদের রাজ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে কাজ ছেড়ে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এই যৌথ কারণেই বেকারত্ব বাড়ছে।
তা ছাড়া করোনা সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ জারি থাকায় অনেক পরিষেবা প্রায় বন্ধ। সেই সব পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকেদের অনেককেই ছাঁটাই করছে সংস্থা। অর্থাৎ করোনার প্রথম তরঙ্গে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেই সমস্যা আবারও ফিরে এসেছে।
করোনা অতিমারির প্রথম তরঙ্গের সময় দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। সংক্রমণ বৃদ্ধি চলতি দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকে কম ছিল। সেই সময় বেকারত্বের যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেই সমস্যা এই তরঙ্গে আরও বেশি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে তা হবে রেকর্ড বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন : রামমন্দির দেখিয়েও বারাণসী-অযোধ্যায় শোচনীয় পরাজয় বিজেপির