ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশকে দায়ী করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংস্থার তরফে প্রকাশিত করোনা বিষয়ক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতের পিছনে রাজনৈতিক জনসভা এবং ধর্মীয় জমায়েতের বড় ভূমিকা রয়েছে’।
হু-য়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-র অক্টোবরে প্রথম ভারতে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ প্রজাতিটির (যা করোনার ভারতীয় রূপ বলে পরিচিতি পেয়েছে) সন্ধান মিলেছিল। এর পর দ্রুত তা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
দু’দফার জিনগত চরিত্র বদলের কারণে বি.১.৬১৭ ভাইরাসটিকে ‘দ্বি-পরিব্যক্ত’ (ডাবল মিউট্যান্ট) হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘হু’। যার সংক্রমণ ক্ষমতা অন্য প্রজাতিগুলির তুলনায় বেশি। সংস্থার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ববিধি পালিত না হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
এর আগে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকা ল্যানসেট-ও ভারতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশের মতো অতি সংক্রামক (সুপার স্প্রেডার) অনুষ্ঠানকে দায়ী করেছিল। সরাসরি নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনাও করা হয়েছিল ল্যানসেটের সেই প্রতিবেদনে।
এদিকে দেশের বিরোধী দলগুলি ২০২০-র অক্টোবর মাস থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঝাপ্টা আসা নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু ভারত সরকার তার কিছু পরেই দেশকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে দেয়। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঘোষণা করেন ভারত করোনা মুক্ত। এমন কী তিনি বলেন ব্ল্যাক চকোলেট খেলে করোনা থেকে স্বস্তি মিলবে। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন বলছেন দেশ করোনা মুক্ত তখন আইসিএমআর জানাচ্ছে ভারতে ২১% মানুষের মধ্যে সার্স-২ ও কভিড -১৯ এর এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। আইসিএমআর -এর এই তথ্যের পর প্রধানমন্ত্রী কী করে বললেন দেশ করোনা মুক্ত? প্রশ্ন দেশ তথা বিশ্বজুড়ে ।
আরও পড়ুন : শীতলকুচি সফর নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী- রাজ্যপাল সংঘাত, চিঠি- পাল্টা চিঠিতে বাড়ছে উত্তাপ