Site icon The News Nest

গো-হত্যার কারণে ভূমিকম্প! ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের অনলাইন পরীক্ষা

kamdehnu

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের পরীক্ষা অনলাইনে হতে চলেছে। দেশের সাধারণ মানুষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে দেশি গরু ও তাঁর উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার আগে প্রকাশিত পাঠ্যসূচিতেই উঠে এল এমন বিচিত্র বিষয়গুলি।

খনিজ সম্পদ হোক কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, সমস্ত কিছুর সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে গরু। অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ (Rashtrya Kamdhenu Aayog)((RKA) -র পাঠ্যসূচিতে। গরুর দুধে সোনা (Gold)-র উপস্থিতিকে যেমন মান্যতা দেওয়া হয়েছে, তেমনই আবার বলা হয়েছে যে ভূমিকম্পের আসল কারণ হল গো-হত্যা (cow slaughtering)।

গো-কল্যাণে গঠিত জাতীয় কমিটির পাঠ্যসূচিতে বলা হয়েছে, “অ্যাকু্ইস্টিক অ্যানিস্ট্রোপি (Acoustic anisotropy) পাথরের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বছরের পর বছর ধরে প্রতিনিয়ত কসাইখানায় যখন হাজার হাজার প্রাণীর হত্যা করা হয়, সেই সময় তাদের করুণ আর্তনাদই ‘বেদনা তরঙ্গ’ রূপে পাথরের উপর আঘাত করে। এরফলেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।”

আরও পড়ুন: গরু-কয়লা পাচারের অভিযোগ তুলে আক্রমণ! বাবুলকে আইনি নোটিশ অভিষেকের

ভোপাল দুর্ঘটনায় (Bhopal Gas leak Incident) যারা রক্ষা পেয়েছিলেন, তার পিছনেও ছিল গরুর অবদান, এমনটাই দাবি করেছেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, “১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একমাত্র যাঁদের বাড়ির দেওয়ালে গোবরের প্রলেপ ছিল, তাঁরাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।”

পাঠ্যসূচিতে দেশি ও বিদেশি গরুর বিভাজনও করা করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, “দেশি গরুরা বিদেশি গরুদের তুলনায় তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ও চালাক। সেই কারণেই দেশী গরু কখনও নোংরা কোনও স্থানে বসে না। অন্যদিকে জার্সি গরু (Jersey Cow)-রা একদিকে যেমন অলস হয়, তেমনই আবার এদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। নিজেদের সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন না রাখার কারণেই জার্সি গরুরা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। সেই তুলনায় দেশি গরুরা নিয়মিত গা চেটে দেহ সাফ রাখে।”

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি “কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার” নামক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিক থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, বয়স ও শ্রেণী অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিভাগে নাম লিখিয়ে অনলাইনেই পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারবে। অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীদের কেবল মাল্টিপাল চয়েস প্রশ্ন (MCQ)-ই দেওয়া হবে। যাঁরা এই পরীক্ষায় পাশ করবেন, তাঁদের গো-বিশেষজ্ঞের শংসাপত্রও দেওয়া হবে।

বাংলার দিলুদাও বলেছিলেন গুরুর দুধে সোনা আছে। তাই শুনে একজন আবার গুরু নিয়ে সটান হাজির হয়েছিল গোল্ড লোন দেওয়া সংস্থায়। তারা পড়েছিলেন বিড়ম্বনায়। লোকটি নাছোড়। সে বলে নড়ব না। গরুর দুধে সোনা থাকলে তার বিনিময়ে লোন দেওয়া হবে না কেন ?

যারা মনে করে গুরুর আর্তচিৎকারের কারণেই ভূমিকম্প, তাদের দলই বাংলায় ক্ষমতা দখলের জন্য লাফাচ্ছে। আগে বিজেপির লোকজন গুজরাট মডেলের কথা বলত , তাই শুনে চেতনা সম্পন্ন বাঙালি ঘাবড়ে যেত। এবার বোধহয় তারা একসঙ্গে গুজরাট ও ইউপি মডেলের কথা বলবে। ইউপি মডেল মানেই নয়া নাম। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর কাজ হল নয়া নামকরণ।

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মের অবমাননার প্রমাণই নেই, বলেছে পুলিশ, জামিন খারিজ কমেডিয়ান ফারুকির

Exit mobile version