ফুঁসছে ‘নিভার’,মধ্যরাতের পর আছড়ে পড়তে পারে, ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বইবে ঝড়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বুধবার সন্ধ্যায় নয়, মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’। যা মামল্লপুরম এবং কারাইকালের মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু এবং পুুদুচেরিতে আছড়ে পড়বে। গতি কিছুটা কমলেও ‘নিভার’ স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় ঘণ্টায় ১৩০-১৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।

সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে চেন্নাইয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৫০ কিলোমিটার দূরে ‘নিভার’ অবস্থান করছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ রূপ নিয়ে মমল্লাপুরম এবং কারাইকলের মাঝে বুধবার রাতের দিকে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সব জানি’, দলকে সাবধান কর দিলেন মমতা

তারইমধ্যে মামল্লপুরমের ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গত দু’দিন ধরে চেন্নাই-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। তামিলনাড়ুর থানজাভুর, তিরুভারুরু, নাগাপট্টিনাম, আরিয়ালুর, পেরামবালুর, ভিল্লুপুরমের মতো জেলা এবং পুদুচেরি ও কারাইকালে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তাছাড়াও ভেলোর, রানিপেট, কৃষ্ণাপল্লি, তিরুচিরাপল্লি, সালেমের মতো জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চেন্নাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় চেম্বাবারামবাক্কাম জলাধার থেকে আদইয়ার নদীতে জল ছাড়া হয়েছে। প্রাথমিক ১,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পরিস্থিতির বিচার করে আরও জল ছাড়া হতে পারে।

পরিস্থিতির মোকাবিলায় গ্রেটার চেন্নাইয়ে ১২৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মঙ্গলবারই। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআএফ) ১২০০ সদস্যকে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি দল গিয়েছে তামিলনাড়ুতে, ৭টি অন্ধ্রপ্রদেশে এবং ৩টি পুদুচেরিতে।

অতিরিক্ত ২০টি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে বলে এনডিআরএফ সূত্রে খবর। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নৌবাহিনীও। তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি প্রশাসনের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখছে তারা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ এবং উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারও।

মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ‘নিভার’। প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ঘরবাড়ি (মূলত টিনের বাড়ি ও কুঁড়েঘর) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কলা এবং শস্যখেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। পুদুচেরি ও কারাইকালে সবথেকে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তামিলনাড়ুর ১৩ টি জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৩,৯৪৮ জন শিশু-সহ ২৪,১৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের ৩১৫ টি ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। পুদুচেরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার সাউর্দান কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার এবং প্রশাসনকে সাহায্যের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল, ইঞ্জিনিয়ারদের দল।

আরও পড়ুন: খুনি গাছ’! বটানিক্যাল গার্ডেনের অবিশ্বাস্য ঘটনায় কপালে চোখ বিজ্ঞানীদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest