শাসক দলের বিরোধিতা কী দেশদ্রোহিতা, প্রশ্ন সচেতন সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মনে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেশ একটা কেবল ভুখন্ড নয়। দেশ একটা চেতনা। একটা বোধ। একটা অনুভূতি। (The country is not land only. Country means consciousness. Country means feeling.)এদেশের বহু মানুষ তার এলাকার দুশো কিলোমিটারের বাইরের যাননি। প্রয়োজনই হয়নি। তাদের কাছে দেশ বলতে তার গ্রাম। গ্রামের মানুষ। পাড়াপড়শি। এরা জানেও না মনিপুর ও মেঘালয় কোথায়? বেঙ্গালুরু মহারাষ্ট্রের মধ্যে পরে নাকি কর্নাটকে। কিন্তু তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা। তাতে একছটাক কমে না দেশপ্রেম।

দেশ মানে সরকার নয়। আবার সরকার মানে শাসক দল নয়। কিন্তু সব যেন আজকাল কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশকে শাসক দলের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে সচেতনভাবে। শাসক দলের বিরোধিতাকে দেশদ্রোহিতা বলে দেগে দেবার চেষ্টা চলছে। শাসকদলকে আবার মোদীর সমার্থক করে তোলা হচ্ছে। ফলে মোদীর ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরোধিতাকে ‘দেশবিরোধিতা’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাসের সঙ্গে টিপ্পনি চলছে। মুসলিমদের কটাক্ষ করাকে বিজেপির লোকজন শিল্পির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ব্যবহৃত হয় পিজা ও পাস্তায়, এখন বাড়ির টবে অরিগানো চাষ করুন, শিখে নিন সহজ পদ্ধতি

বেশিরভাগ মিডিয়ার সময় হয় না সচেন ও শিক্ষিত মুসলিমদের কাছে যাওয়ার। কারণ এদেশে বিদ্বেষ বিক্রি হয়। দুঃখের বিষয় বিদ্বেষ বানায় কিছু ‘কোয়ালিফায়েড’ লোক। তাদের বানানো বিদ্বেষ করোনার মত ছড়িয়ে পরে জনমনে। সংক্রামিত হন কমবেশি প্রত্যেকে। আজকাল এই ধরণের লোকেদের শাসক দলে বেজায় কদর।

বিদ্বেষ তৈরী করা এবং তাকে মার্কেটিং করা তথাকথিত অশিক্ষিত লোকের কাজ নয়। এটা করে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ ফেরত কিছু লোক। তারা তার জন্য টাকা পায়।এরা লেখাপড়া জানা ‘অশিক্ষিত’। কিন্তু লোকে তাদের শিক্ষিত বলে। তাদের তৈরী করা প্রোডাক্ট কেনে দেশের আম জনতা। ফলে বিদ্বেষ এখন ঘরে ঘরে। আজকাল সামাজিক মাধ্যমেও বিদ্বেষ ট্রেন্ডিং করা হয়। যার জেরে তার পিছনে পরে যায় ছোট, বড়, কুচো এবং মাঝারি নানা সংবাদ মাধ্যম। বিদ্বেষকে সামনে রেখে খবর হয় তখন। এইভাবে বিদ্বেষের বাড়বাড়ন্ত হয়।

দেশ স্থায়ী বিষয়। সরকার আনাগোনা করে। সরকারের প্রতি মানুষের খানিকটা বিশ্বাস ছিল। নিউ ইন্ডিয়াতে এখন সরকার নিজেকে শাসক দল বলে ভাবতেই পছন্দ করে। তাতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনের জয়জয়কার করা যায়। বাকিটা দেশবাসীর অজানা নয়।

আরও পড়ুন: ট্রাক্টরের গর্জনে কাঁপছে দিল্লি! আজ তো স্রেফ ট্রেলর, হুঁশিয়ারি কৃষকদের; কেন্দ্রের মুখে কুলুপ

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest