নীতীশের সঙ্গে জোট রাজনীতি মানেই সাসপেন্স। তাঁর জোটে যেই থাকবে তাকেই এই সাসপেন্সের আঁচ পেতে হবে। মনে হবে এই বুঝি নীতিশ ‘পাল্টি’ খেলেন। সম্প্রীতি বিহারে গত কয়েকদিনে যেভাবে দুই শরিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রবিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। JD(U)–এর নয়া জাতীয় সভাপতির পদে আনা হয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিংকে।
আরও পড়ুন: একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও
নীতীশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রামচন্দ্র প্রসাদ সিং। নীতিশের মতো তিনিও বিহারের নালন্দা জেলারই বাসিন্দা। তবে এই ঘোষণার পরই বোমা ফাটান নীতীশ। জানান, চাপের মুখেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে ছিল না। কে এই চেয়ারে বসল, তাতে নাকি তাঁর কিছুই যায়–আসে না।
তাহলে কী বিহারে ভাঙতে চলেছে জেডিইউ (JDU)—বিজেপি (BJP) জোট? ফের কী পদত্যাগ করবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)? সূত্রের খবর, দলের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘লোকে বলছে বিজেপি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছে। আমার তাতে কিস্যু যায় আসে না। আমার কোনও পদের প্রয়োজন নেই। ভোটের ফলাফলের পরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু জোটের চাপেই আমাকে ফের এই আসনে বসতে হয়েছে।’’
দু’দলের চাপানউতোর নিয়ে স্বাভাবিকভাবে আসরে নেমেছে আরজেডিও। প্রয়োজনে জেডিইউয়ের সঙ্গে জোটেও যেতে প্রস্তুতও তাঁরা। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন লালু প্রসাদের দলের শীর্ষনেতৃত্ব। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, সেটাই দেখার।
তবে একথা মানতেই হবে যে বর্তমানে রাজনীতি জোট রাজনীতি দুটোই বিজেপি কংগ্রেসের থেকে ভালো করছে। তবে রাজনীতির নিয়ম অনুযায়ী বিজেপি যে ভিতরে ভিতরে নীতীশ কুমারের দলের শিকড় কেটে দেবে সেটা স্বাভাবিক। এটা রাজনীতির অঙ্গ। আর তা ক্রমশ টের পাচ্ছেন নীতিশ। উনি বুঝছেন কুর্সির মায়া করতে গিয়ে হয়ত একদিন দেখা যাবে, দলটাই নেই।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিলেন রাজস্থানের এই ব্যবসায়ী