Site icon The News Nest

কোর্টের ‘ধমক’ সইতে না পেরে মিডিয়ার কণ্ঠরোধের চেষ্টা কমিশনের !

Madras HC

বিচারকরা মৌখিকভাবে যা বলছেন তা সংবাদমাধ্যমে যাতে প্রচারিত না হয়, এই আবেদন জানিয়ে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্বাচন কমিশন। দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছিল মাদ্রাস হাইকোর্ট। এমনকী, কমিশনকে ‘খুনি’-র সঙ্গেও তুলনা করেন মাদ্রাস হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এরপরেই গোটা দেশে কার্যত হইচই পড়ে যায়। এই ঘটনা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:Manna Dey Best Songs মান্না দে-র গাওয়া এই গানগুলিতে আজও আচ্ছন্ন আট থেকে আশি

মাদ্রাজ হাই কোর্টে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে যে সব খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হয়েছে। তাদের হলফনামায় বলা হয়েছে—যে নির্দেশ, রায় এবং পর্যবেক্ষণ আদালত রেকর্ড করছে তা সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার বা প্রকাশ করুক। মৌখিক যে কথা এজলাসে বলা হচ্ছে তা থেকে বিরত থাকুক। আর এই আবেদন আসলে নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লাগার কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সত্যব্রত শাহু হলফনামা জমা দিয়েছেন আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মৌখিক পর্যবেক্ষণ চূড়ান্ত রায়ে নথিভুক্ত করা হয়নি। সেইদিন সেই মামলায় মৌখিক পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করা হয়নি। অথচ মিডিয়া তা নিয়েই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মৌখিক পর্যবেক্ষণই খবরে স্থান পেয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বশাসিত সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কমিশনের তরফে আদালতে এও জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় তরঙ্গের বৃদ্ধির জন্য যদি কারও দায় থাকে, সেটা রাজনীতিকদেরই, নির্বাচন কমিশনের নয়।

আরও পড়ুন: ৩৩-এ পা দিলেন অনুষ্কা শর্মা, জানুন বিরাটের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখার ঘটনা

Exit mobile version