কয়েক দফার আলোচনার পরেও এখনও মেলেনি সমাধানসূত্র। এর জেরে এবার নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি সরাসরি ভারত বনধের ডাক দিল আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির নেতারা। শুক্রবার নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর সাংবাদিকদের একথা জানান ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের ((BKU-Lakhowal) সাধারণ সম্পাদক হরবিন্দার সিং লাড়খাওয়াল।
আইন সংশোধনে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে একচুলও সরতে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপি-র, হার গেরুয়া গড় নাগপুরেও
৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার দেশ জুড়ে বন্ধ পালনের ঘোষণা করেছেন তাঁরা। তার আগে ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ-লাখোওয়াল) তরফে এমনই ঘোষণা করা হল।
বন্ধ চলাকালীন সমস্ত জাতীয় সড়ক এবং টোলপ্লাজাগুলি অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরিন্দর সিংহ লাখোয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘কৃষি আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করতে হবে বলে গতকালই কেন্দ্রকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। ৫ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করব আমরা। ৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছি। আরও অনেক মানুষ আমাদের এই আন্দোলনে যোগ দেবেন।’’
গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীতে আন্দোলন টেনে আনেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও তাতে যোগ দেন।
দিল্লি পুলিশ সীমানা আটকে দেওয়ায় এই মুহূর্তে দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় হাজার হাজার কৃষক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার কথায়, ‘‘এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে।’’
আরও পড়ুন: ইউপিতে প্রথমবার ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইনে ভিনধর্মের বিয়ে রুখল পুলিশ