শুক্রবারই হাথরাসের (Hathras) গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট (Chargesheet) পেশ করেছে সিবিআই (CBI)। টিভিতে খবর দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। ধর্ষণের অভিযোগকে চাপা দিতে ‘অনার কিলিং’-এর যে দাবি তুলেছিল অভিযুক্তর পরিবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তা নস্যাৎ করে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁর দাদারা। কিন্তু এবার নির্যাতিতার পরিবার জানিয়ে দিল, গ্রাম ছাড়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা।
নির্যাতিতার এক দাদার কথায়, ‘‘চার অভিযুক্তের পরিবার খুবই প্রভাবশালী। গ্রামে দলিত পরিবারও বেশি নেই। সব মিলিয়ে যে চার-পাঁচটি পরিবার রয়েছে তারা ঝামেলা এড়াতে আমাদের এড়িয়ে চলে। বাকি ৬৩টি পরিবারই উচ্চবর্ণের। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলে না। শুক্রবার চার্জশিট পেশ হওয়ার পরে পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হয়ে উঠেছে।’’
আরও পড়ুন: আচমকাই দিল্লির গুরুদ্বারায় প্রার্থনা মোদীর, কৃষকদের মন গলাতে আবেগের সদ্ব্যবহার
আপাতত সিআরপিএফের নিরাপত্তা কর্মীরা পাহারায় রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আর কতদিন? নির্যাতিতার দাদার আরজি, সরকার যদি দিল্লিতে তাঁদের জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তাহলে গ্রাম ছাড়বেন তাঁরা। ওই গ্রামে থাকা যে আর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষে নিরাপদ নয়, সেই দাবি করেছেন তাদের আইনজীবীও। পাশাপাশি মামলাটি দিল্লিতে সরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন তিনি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের দলিত যুবতীকে চার যুবক গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের পরে যুবতীর উপরে বীভৎস অত্যাচারও করা হয়। এর ফলে তাঁর শরীরে নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়। সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। পরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গর্জে ওঠে গোটা দেশ।
পরিবারের অনুমতি না নিয়েই মৃতার দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের লোকজনদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছিল তাদের এলাকাকে। স্বয়ং জেলা শাসক শাসিয়েছিলেন মৃতার পরিজনদের।
আরও পড়ুন: আজ শান্তিনিকেতনে শাহ, বাউল বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের পর অনুব্রতের গড়ে রোড শো