মহাত্মা গান্ধীর খুনি গডসের অনুপ্রেরণা ছিল শ্যামাপ্রসাদ, সাভারকর, দাবি হিন্দু মহাসভার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গোয়ালিয়ারে নথুরাম গডসের নামে একটি মিউজিয়াম তৈরি করল হিন্দু মহাসভা। গডসে জ্ঞানশালা সাধারণ মানুষকে তার আদর্শ ও বিভিন্ন ইস্যুতে তার অবস্থান ও শাস্তির আগে আদালতে তার বক্তব্যের বিষয়ে জানাবে। প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে নাথুরাম গডসে।

এই জ্ঞানশালায় দাবি করা হয়েছে যে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী শীর্ষ আরএসএস নেতা ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এই দাবি ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে সংঘ পরিবার। হিন্দু মহাসাভার দাবি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা গুরু হেডগেওয়ার ও জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন গডসেকে। এছাড়াও এই তালিকায় আছএন গুরু তেগ বাহাদুর, গুরু গোবিন্দ সিং, শিবাজি, মদনমোহন মালব্য, বিনায়ক দামোদর সাভারকর প্রমুখ।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স বাতিল, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মমতার

এই নিয়েই বিজেপিকে বিঁধেছে কংগ্রেস। দলের নেতা কেকে মিশ্র জানিয়েছেন যে সারা দেশ জানে কোন আদর্শ মহাত্মা গান্ধীর হত্যার নেপথ্যে ছিল। হিন্দু মহাসভা ফের নতুন করে সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

হিন্দু মহাসেবার জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন যে এটা বলা ভুল যে গডসে গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন। তাঁর দাবি যে মহাত্মা গান্ধী দেশকে ভাগ করেছিলেন, সেই কারণেই সাচ্চা দেশপ্রেমী নাথুরাম গডসে সেই কাজ করেছিল। কেন এই চরমপন্থী কাজ করেছিল সে, আগামী প্রজন্মকে বোঝানোর জন্যেই এই জ্ঞানশালা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মোদী জমানার বিজেপি নেতারা বিদ্বেষকে হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদ বলে চালানোর চেষ্টা করছে। তার বিরোধিতা করলেই তাকে দেশবিরোধী বলে দেগে দেবার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি পোষা আইটি সেলের কাজই হল যেকোন বিষয়কে হিন্দু-মুসলিমে বিভাজিত করে বিদ্বেষ ছড়ানো। সরকার এমনকি শাসক দলের সমালোচনাকেও দেশদ্রোহিতা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি ও তার দোসর দলগুলি।

বিদ্বেষের আঁচে রুটি সেঁকে নেওয়া বিজেপির রাজনীতির অঙ্গ। তারা অংকসময় নিজেদের রাজনৌতিক উদ্দেশ্য শরিক দলগুলির মাধ্যমে চরিতার্থ করে। এমনটাই অভিযোগ ধর্ম নিরপেক্ষ লোকজনের। আরএসএস অবশ্য বলেছে হিন্দু মহাসেবার সঙ্গে আরএসএসের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তারা কোন ছবি ব্যবহার করছে সেই নিয়ে তাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই।

আরও পড়ুন: ঝোঁক বাড়ছে সিগন্যাল অ্যাপের, কী সুবিধা আছে? সংক্ষেপে জেনে নিন

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest