তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশী মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। সেই কারণে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ১৭ মাস ধরে জেলে থেকেছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা।সেই চার্জশিটে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। আদালতে পাল্টা জামিনের আবেদন করেছিলেন অভিযুক্ত।
সেই সময় তদন্ত চলছিল। তাই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। শেষ পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষা করা হল। দেখা গেল, ওই নাবালিকার সন্তানের পিতা ওই অভিযুক্ত নন। অথচ সেইকলঙ্ক মাথায় নিয়ে ১৭ মাস জেল খাটতে হল তাঁকে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর অবশেষে জামিনে মুক্তি দিল আদালত।
আদালত জানিয়েছে, দু’পক্ষের মন্তব্য শুনানির পর আদালত অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে আপাতত ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: হঠাৎই বন্ধ হতে চলেছে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’! আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত?
২০১৯ সালের ২৩ জুলাই এক মুক ও বধির নাবালিকার হঠাৎ করেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। সে তখন বিশেষ স্কুলে ছিল। বাড়িতে নিয়ে এলে তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা। তারপরই পুরো ঘটনা জানাতে নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
প্রতিবেশী এক রেস্তোরাঁ কর্মী দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছে। সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে। পুলিশ সেই নিয়ে তদন্ত করে অভিযোগ দায়ের করে, চার্জশিট জমা দেয়। তারপর অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট ভুলও হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন এদেশে পুলিশ বেশিভাগ সময়ই আসল অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে টানাটানি করে।মোট কথা ওই নাবালিকার ভ্রূণের ডিএনএ ওই প্রতিবেশীর ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলছে না। ফলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে পেন কিনতে বেরিয়ে অন্য বহুতল থেকে ‘ঝাঁপ’, হোয়াটসঅ্যাপ-এ লেখা সুইসাইড নোট