অতিমারীর সময়েও সামরিক খরচে বিশ্বে ‘থার্ড বয়’ ভারত

আমেরিকা, চিনের পরেই সামরিক খাতে খরচের নিরিখে রয়েছে  ভারত। গোটা বিশ্বে তৃতীয় সর্বাধিক খরচ করেছে ভারত।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। অক্সিজেনের আকাল দেশজুড়ে। অথচ সেদিকে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ায়নি মোদী সরকার। খরচ বাড়ানো হয়েছে সামরিক খাতে। আমেরিকা, চিনের পরেই সামরিক খাতে খরচের নিরিখে রয়েছে  ভারত। গোটা বিশ্বে তৃতীয় সর্বাধিক খরচ করেছে ভারত, গত বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা সংস্থার। বিশ্বে মোট সামরিক খরচের ৩৯ শতাংশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে চিন করে ১৩ শতাংশ এবং তিন নম্বরে ভারত করেছে ৩.৭ শতাংশ খরচ।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকা গত বছর ৭৭ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে সামরিক খাতে। চিন করেছে ২৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ। সেখানে ভারতের খরচ ৭ হাজার ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই তিনটি দেশই ২০১৯-এর তুলনায় করোনা অতিমারীর মধ্য়েও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ খরচ করেছে সামরিক খাতে।

আরও পড়ুন: ব্যাটে রান মর্গ্যানের! হোঁচট খেয়ে পাঞ্জাবকে হারাল নাইটরা, আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে বড়সড় লাফ

ভারতের খরচ ২০১৯-এর তুলনায় ২.১ শতাংশ বেড়েছে ২০২০ সালে। যেখানে চিনের বেড়েছে ১.৯ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯-এর তুলনায় ৪.৪ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছে ২০২০ সালে। আমেরিকার জিডিপির ৩.৭ শতাংশ খরচ হয়েছে সামরিক খাতে। চিনের ১.৭ শতাংশ এবং ভারতের সেটা ২.৯ শতাংশ। গত দশ বছরে আমেরিকার সামরিক খাতে খরচ ১০ শতাংশ কমেছে। সেই তুলনায় চিনের খরচ বেড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ। ভারতের খরচ দশ বছরে বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।

করোনা অতিমারীতে যখন গোটা বিশ্ব বিধ্বস্ত। বিশেষ করে এশিয়ায় ভারত ও চিনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ সামরিক খরচে একে অপরকে জোর টক্কর দিয়েছে। গত বছর ভারত ও চিন মিলিতভাবে বিশ্বের মোট সামরিক খরচের ৬২ শতাংশ খরচ করেছে।

মোদী সরকারের আমলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের প্রভাব বেড়েছে । তাদের আস্ফালনকে  জাতীয়তাবাদ মনে করেছে অনেকে। শাসকদল চেষ্টা করেছে নিকটতম শত্রু চিহ্নিত করে তাদের ভোটারদের তুষ্ট করতে। রণহুংকার দিতে। সে কারণেই সমরসরঞ্জামের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশবাসীর কাছে এই বার্তা দেবার চেষ্টা হয়েছে যে আমরা সমরাস্ত্রে বহুদূর এগিয়ে গিয়েছি।  তবে এই বার্তা না দিয়ে যদি দেশবাসীকে সময় মত অক্সিজেনের যোগান দেওয়া যেতে তা হলে তা সার্বিকভাবে জনহিত হত। মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ, দক্ষিণবঙ্গে পারদ পৌঁছল ৪২ ডিগ্রির কাছে, মে’র শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest