কেবল আনলক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার মানে করোনার পায়ে বেড়ি নয়। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২২,২৫২ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৬৭ জনের।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৭,১৯,৬৬৫। এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ২,৫৯,৫৫৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৩৯,৯৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫,৫১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৬১.১%। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০,১৬০।
আরও পড়ুন : আর্থিক সংকট মোকাবিলায় জাতীয়তাবাদ ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে বিশ্ব নেতৃত্ব
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫৩৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,১১,৯৮৭। করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯,০২৬। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ১,১৪,৯৭৮। তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে ১,৫৭১ জনের। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০,৮২৩।
সোমবারই আইসিএমআর যখন করোনা টেস্টের সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা শোনাচ্ছে, তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, দেশজুড়ে গড়ে ৬.৭৩ শতাংশ লোকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসছে। অর্থাৎ, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা যে ভাবে বেড়েছে, সেই তুলনায় পজিটিভ হওয়ার হার অনেকটাই কম।কেন্দ্রের যু্ক্তি, করোনার পরীক্ষা বেশি হচ্ছে বলেই নতুন সংক্রামিতের খোঁজ মিলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি এমন কথা বলে অবশ্য টেস্ট কমিয়ে দেবার আস্ফালন করেছিলেন।
কেন্দ্রের দাবি ছিল, দেশে করোনা থেকে সুস্থতার হার ৬০ শতাংশের বেশি, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো। এ দিন সে কথা শোনা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখেও। তাঁর বক্তব্য, রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের বেশি হলেও ৭২,০০০-এর বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে। দিল্লিতে প্রতি ২৫,০০০ সংক্রামিতের মধ্যে ১৫,০০০ জনের চিকিৎসা বাড়িতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন : টিকটক-সহ বেশ কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ভাবনা এবার আমেরিকার