বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা (World’S Largest Zoo) এবার ভারতে। মোদীর রাজ্য গুজরাটে এই চিড়িয়াখানাটি তৈরি করছে আম্বানি পরিবার। যেখানে থাকবে কোমোডো ড্রাগন থেকে শুরু করে চিতা, আফ্রিকার সিংহ কিংবা ভিন প্রজাতির পাখি। জামনগরে বিরল প্রজাতির এই পশুপাখির সম্ভার নিয়ে আসছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries)। সংস্থার কর্পোরেট বিষয়ক ডিরক্টর পরিমল নাথাবনি বলেন, ‘আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে এই চিড়িয়াখানা। সঙ্গে থাকবে একটি উদ্ধার কেন্দ্রও।’
এই খবর শুনে অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ঠিক জিনিসই বানাচ্ছে আম্বানি। আর ঠিক রাজ্যেই সেটা হচ্ছে। তবে কর্মসংস্থানের যেরকম বেহাল তাতে বেকার ছেলেদের জানোয়ার সাজতে বললে তারা অনেকেই রাজি হয়ে যাবে। দাম কিঞ্চিৎ বাড়ালে ‘জয়…’ বলে স্লোগান দেওয়ানো কঠিন হবে না। তাতে রাজনৈতিকভাবেও শাসকদলকে খানিকটা সাহায্য করা যাবে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজে রাখার পরেও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পনির? এই ৪ টিপস কাজে লাগিয়ে রাখুন ফ্রেশ
টাটা তৈরী করছে নয়া সংসদ। আম্বানি তৈরী করছে চিড়িয়াখানা। দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্ধ তৈরির চেষ্টা না করাই ভালো। তাতে সাংসদরা অপমানিত বোধ করতে পারেন। তবে লোকসভা ও রাজ্যসভা ফুটেজ এবং তাদের নিজেদের ভাষণ দেখে ও শুনে যাদের লজ্জা হয় না, তাদের নিয়ে চাপ নেই। মনে করছেন অনেকে। কিন্তু আসল জানোয়াররা রাগ করবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।
সমগ্র চিড়িয়াখানা তৈরিতে মোট খরচ কত হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, আম্বানির এই বৃহত্তম চিড়িয়াখানার নাম হবে ‘গ্রিনস জুলজিকাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহেবিলেশন কিংডম।’
যেখানে থাকবে ফ্রগ হাউস, ড্রাগন আইল্যান্ড, ল্যান্ড অব রোডেন্ট, অ্যাকোয়াটিক কিংডোম সহ একাধিক বিভাগ। সেই বিভাগগুলিতে আনা হবে আফ্রিকার সিংহ, চিতা, জাগুয়ার, নেকড়ে, হিপ্পো, ওরাংওটাং, বেঙ্গল টাইগার সহ দেশ বিদেশের একাধিক প্রাণী। জানা গিয়েছে ২৮০ একরেরও বেশি অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠবে এই চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানাটির যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির কাঁধে।
কোটিপতিদের পশুপ্রেমের একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার লো টাক কোং নামে এক উদ্যোগপতি প্রায় ৪০ লক্ষ ডলার খরচ করে একটি চিড়িয়াখানা নির্মাণ করেছিলেন। জর্জিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিদজিনা ইভানিশভিলি, যিনি একজন ধনী উদ্যোগপতিও বটে, ডেনড্রোলজিকাল পার্কের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার ভয়ংকর দর্শন সরীসৃপ কেমোডো ড্রাগন নিয়ে পশুপ্রেমীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। এবার ভারতীয় চিড়িয়াখানায় তার দর্শন মিলবে জেনে ইতিমধ্যেই উৎসাহিত পর্যটকরা। ২০১৯ সাল থেকে নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামের বোর্ড সদস্যের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন নীতা আম্বানি। ক্যাম্পডেন ওয়েলথের ডিরেক্টর রেবেকা গুচ বলেন, ‘কল্পনাকে বাস্তবের রূপ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ধনকুবেরদের। এই বিনিয়োগ একটি সংস্থার ইমেজ তৈরির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: সোনা নয়, বিয়েবাড়িতে ট্রাই করুন এই ধরনের ব্ল্যাকপলিশের গয়না