এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের (Kashmiri Pandit) মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে দশ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন তাঁরই কয়েকজন মুসলিম প্রতিবেশী। এখানেই শেষ নয়, সৎকারেও তাঁরাই সাহায্য করেন। গত শনিবার কাশ্মীরের (Kashmir) সোপিয়ান (Shopian) জেলার এই ঘটনাটি সামনে আসতে অনেকেই ওই মুসলিম ব্যক্তিদের কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে ভাস্কর নাথ নামে ওই কাশ্মীরি পণ্ডিত SKIMS হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে মারা যান তিনি। কিন্তু ভারী তুষারপাতের কারণে বরফ পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে শ্রীনগর থেকে নিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্সটি পারগোচি এলাকায় যাওয়ার পথে আটকে পড়ে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকেই খুলতে পারে রাজ্যের স্কুলগুলি,দিনক্ষণ জানাল স্কুলশিক্ষা দপ্তর
ভাস্কর নাথের বাড়ি তখনও দশ কিলোমিটার দূরে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক ভাস্কর নাথের বাড়িতে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। শেষপর্যন্ত সমস্তটা জানতে পেরে ভাস্করের মুসলিম প্রতিবেশীরাই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তুষারপাতের মধ্যেই পুরো রাস্তা কাঁধে করে মৃতদেহটি বয়ে নিয়ে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। এরপর শেষকৃত্য সম্পন্নও করেন।
যে পণ্ডিতরা সেখানে থেকে গিয়েছিলেন তাঁদের একজন ছিলেন এই ভাস্কর নাথ। তবে তাঁর পরিবারের লোকজন সাক্ষাৎকারে এটাও জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবেশীরা বরাবরই তাঁদের পাশে থেকেছেন।
আসলে এটা কোনও সম্প্রীতির পৃথক ছবি নয়। এটা এদেশের চেনা সংস্কৃতি। কিন্তু ‘অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ এবং, ‘অসুস্থ মিডিয়ার’ সৌজন্যে স্বাভাবিক সম্পর্ককেও আলাদা রূপ দেবার চেষ্টা হয়েছে। দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এই ধরনের সহজ এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক আসলে ব্যাতিক্রম।
অথচ এদেশের গ্রামে গঞ্জে এটাই সাধারণ ছবি। সাধারণ মানুষের কাছে যখন এগুলিকে খবর হিসাবে পরিবেশন করা হয়, তখন তারা ভাবে গোটা দেশে বোধহয় এমন সহজ সম্পর্ক নেই। সবটাই বোধহয় সাম্প্রদায়িক শত্রুতা। তা না হলে এই ধরণের ঘটনাকে খবর হিসাবে পরিবেশনের দরকারটাই বা কি !
আরও পড়ুন: আরএসএস-বিজেপি যোগ! টিম থেকে সোনাল শাহ এবং অমিত জানিকে ছেঁটে ফেললেন বাইডেন