পাকিস্তানে বসে বেনামে টুইট, কৃষকদের উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, দাবি অমিত শাহের পুলিশের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পাকিস্তানের মাটিতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এ বার এমনটাই দাবি দিল্লি পুলিশ ওরফে শাহের পুলিশ।এ নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দেশের রাজধানীর পুলিশ।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশ গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, পাকিস্তানের মাটি থেকে অন্তত ৩০৮টি টুইটার হ্যান্ডেল চালানো হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, ওই টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা তৈরির ‘ষড়যন্ত্র’ করা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিসান মোর্চার সঙ্গে ৫ থেকে ৬ বার বৈঠক করেছে তারা।

পাক ‘ষড়যন্ত্র’-এর বিষয়ে কৃষক সংগঠনগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কৃষক নেতাদের বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বসে বেনামে টুইট করে কৃষকদের উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার (ইনটেলিজেন্স) দীপক পাঠকের মতে, ‘‘বিশৃঙ্খলা এবং ধোঁয়াশা তৈরিই ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলির লক্ষ্য। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে আমরা কৃষক নেতাদের অনুরোধ করেছি।’’

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে কয়েক হাজার কৃষকের পদযাত্রা,কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সভা মুম্বইয়ে

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর ট্র্যাক্টর মিছিল করবেন কৃষকরা। শর্তসাপেক্ষে রাজধানীতে ট্র্যাক্টর মিছিল করতে কৃষক সংগঠনগুলিকে ছাড়পত্র দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে ওই দিন নিরাপত্তা আরও কড়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব। জানুয়ারির ১৩ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

‘কৃষি আমাদের সংস্কৃতি’ লেখা বড় বড় পোস্টারে সাজানো হয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে উপস্থিত ট্র্যাক্টরগুলি। সেগুলির মধ্যে ছোট্ট ঘরের মতো বানিয়ে কেউ বিশ্রাম করছেন। কেউ অপেক্ষা করছেন তাঁবুতে। প্রৌঢ় কৃষক জসবন্ত সিংহ তেমনই প্রতিবাদীদের মধ্যে একজন, এসেছেন পঞ্জাব থেকে। শক্ত চোয়ালে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সরকার ধৈর্য পরীক্ষা করছে করুক, আমরা আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রতিবাদস্থল ছেড়ে যাব না।’’

কেউ কেউ বলছেন এবার পাকিস্তানের নাম একটু দেরিতে এল। আগেই আসার কথা ছিল। আসলে অর্নব গোস্বামী নিজেই চাপে থাকার কারণেই কি পাকিস্তানের নাম আসতে দেরি হল? উত্তর মেলেনি।কেন্দ্রীয় শাসক দল যেকোনো অব্ভন্তরীন সমস্যাতে পাকিস্তান কিংবা মুসলিমদের একবন্ধনীতে জুড়তে পছন্দ করে। নিজেদের ব্যার্থতার দায় নেহেরু, পাকিস্তান এবং মুসলিমদের ঘাড়ে না চাপালে তারা স্বস্তি পায় না। দেশের কৃষক আন্দোলন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সামাল দেওয়া যাবে না। বুঝছেন শাহ- মোদীর সাগরেদরা।ফলে বাড়ছে চাপ।

আরও পড়ুন: ঘাটে পড়ে রয়েছে বস্তাবন্দি তাড়া তাড়া নোট, ভর দুপুরে আজব কাণ্ড কালীঘাটে

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest