Site icon The News Nest

‘করোনায় সুপার স্প্রেডার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’ অভিযোগ আইএমের ভাইস প্রেসিডেন্টের

chita delhi

করোনা ঝড়ে কাঁপছে গোটা দেশ। লাগামহীন সংক্রমণ রুখতে হিমশিম খাচ্ছেন সকলে। এই পরিস্থিতিতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে  কাঠগড়ায় তুললেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. নভজ্যোত দাহিয়া । মোদীকে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীই।

সংবাদমাধ্যমে নভজ্যোত দাহিয়া বলেছেন, ‘করোনায় সুরক্ষাবিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য মহল, তখন কোনওরকম দ্বিধা না করেই সমস্ত কোভিড বিধি ভেঙে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’ তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদের কৃষকদের আন্দোলন ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীল মনোভাব দেখাননি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মৌখিক পর্যবেক্ষণ যেন খবর না হয়, ‘ইমেজ’ বাঁচাতে সংবাদমাধ্যমকে বেড়ি পরাতে চায় নির্বাচন কমিশন

উল্লেখ্য, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মোদী সরকারের ভূমিকা. সমালোচনায় মুখর হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশও। এই প্রেক্ষিতে আইএমের ভাইস প্রেসিডেন্টের এমন  মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে।

দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এর আগে সরাসরি দায়ী করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দিল্লি থেকে বাংলায় এসে বিজেপি নেতারা করোনা ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। যে জনসভাগুলিতে করোনা বিধি একদমই মানা হয়নি। দূরত্ববিধি শিকেয় তুলেই মোদীর সভায় ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। পরে, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল সভা করেন নমো।

কিছুদিন আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সকলে করোনা বিধি মেনে চলুন। অকারণে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। করোনা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। কঠিন সময়ে ধৈর্য্য় হারালে চলবে না’। মোদী এও বলেছিলেন, ‘আপনারা সচেতন হলে, লকডাউনের কোনও প্রশ্নই নেই ।’ আরও একধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘দেশকে লকডাউনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’ একইসঙ্গে রাজ্যগুলির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ, ‘লকডাউন হোক সর্বশেষ বিকল্প। বরং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের উপর জোর দেওয়া হোক।’

দেশ যে এমন  ভয়াবহ দিকে যেতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছিলেন। প্রথম ঢেউয়ের সময়ই সাবধান করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আসলে মোদীর সমস্যা হল, তিনি সব বিষয়কেই রাজনীতির চশমায় দেখেন। লোকে বলে তিনি স্তুতি শুনতে পছন্দ করে। ফলে তাঁর আশেপাশে ঘুরঘুর করা আমলারা তাঁকে সন্তুষ্ট করতেই অস্থির। সাংবাদিকরা অনেকেই সেই নীতিই অনুসরণ করছেন।

তাঁকে আয়না দেখানোর লোক নেই। যারা আছে তাদের তিনি রাজনীতি দিয়ে ও টিপ্পনি ভাষণ দিয়ে মোকাবিলা করতে পারেন সহজেই । ফলে ‘মন কি বাতকে’ই প্রধানমন্ত্রী নিজের ‘মহৎ’ ও ‘পবিত্র’ কর্তব্য বলে মনে করছেন। ফাঁকায় ‘বিশ্বগুরু’ হতে চেয়েছেন। বিধবা যেমন প্রবল স্নেহে বোখে  যাওয়া সন্তানকে প্রশ্রয় দেয়, মোদীর প্রতি আরএসএস সেটাই করে গিয়েছে। ফলে তাঁর আত্মভরিতা মতান্তরে অপরিণামদর্শিতায় বাধা দানের কেউ ছিল না। আজও নেই। আর এটা গোটা দেশে করোনার থেকেও মারাত্মক।  এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ফের শীর্ষে ‘মিঠাই’, আরও নামল ‘খড়কুটো’র TRP, দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা

Exit mobile version