প্রিয়ঙ্কা-সালামাত হিন্দু-মুসলমান নয়, সঙ্গী পছন্দ করা মৌলিক অধিকার : এলাহাবাদ হাইকোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে আইন আনা হবে। এরই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।এই সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, কে হিন্দু, কে মুসলিম তা নিয়ে আদালতের কোনও মাথাব্যথা নেই। বিষয়টিকে এ ভাবে না দেখে দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কে কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটা ওই দুই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।

প্রিয়ঙ্কা খারওয়াড় নামে এক হিন্দু তরুণীকে গত বছর বিয়ে করেন সালামত আনসারি নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। সালামতের শ্বশুরবাড়ির লোকের অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন সালামত। মামলাটি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে উঠলে প্রিয়ঙ্কার পরিবারের করা এফআইআর খারিজ করে আদালত। হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, “কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে বাধা দেওয়া যায় না। তাহলে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। দু’জন মানুষের পরস্পরকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।”

আরও পড়ুন: কর্পোরেটরা ব্যাঙ্ক খুললে তছনছ হয়ে যাবে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো, সাবধান করলেন রাজন

সালামত আনসারি কুশীনগরের বাসিন্দা। তাঁকে বিবাহের আগে প্রিয়ঙ্কা ধর্মান্তরিত হন। তখন তাঁর নাম হয় আলিয়া। বিয়ের পরেই প্রিয়ঙ্কার বাবা-মা সালামতের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সালামত তাঁদের মেয়েকে ‘অপরাধীর মতো’ অপহরণ করেছে। প্রিয়ঙ্কা তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের সময় মেয়েটি ছিল নাবালিকা। তাই সালামতের বিরুদ্ধে কঠোর পকসো আইনে মামলা করা হয়।

এফআইআর বাতিল করার জন্য সালামত কোর্টে আবেদন করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১১ নভেম্বর তাঁর পিটিশন শোনে। ১৪ পাতার অর্ডারে বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল ও বিচারপতি পঙ্কজ নাকভি বলেন, “কোনও ব্যক্তি যে ধর্মেরই মানুষ হোন না কেন, তিনি নিজের খুশিমতো জীবনযাপন করতে পারেন। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে।”

‘লভ জিহাদ’ নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘ দিন ধরেই সরব। সম্প্রতি হরিয়ানায় এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই বিতর্ক আরও গতি পায়। তার পর পরই ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্মান্তরণ গ্রহণযোগ্য নয়। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশ একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য এই বিষয়ে কঠোর আইন আনার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দেয়।

আরও পড়ুন:  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’, গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest