কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন চলছে। সেই কারণেই উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের। পরিযায়ী শ্রমিকরা যে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তা বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চ। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নেওয়া কর্মসূচির বিষয়েও জানতে চেয়েছে আদালত। বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে কাজ নেই, টাকা নেই। কী ভাবে তাঁরা বেঁচে থাকবেন?’’
আরও পড়ুন : যোগী রাজ্য যেন মৃত্যু উপত্যকা! এ বার গঙ্গার ধারে বালিতে পোঁতা একাধিক দেহ উদ্ধার
গত বছর লকডাউনে কর্মহারা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য স্কিম আনে কেন্দ্র। এবারও একাধিক রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তার জেরে ফের সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা। তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন হর্ষ মন্দার, অঞ্জলি ভরদ্বাজ ও জগদীপ চক্কর।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ দিন আদালতে পরিযায়ী শ্রমিদের আত্মনির্ভর স্কিমের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান। তাঁর দাবি, যে সব জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকছেন সেখানে তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, রেশন কার্ড না থাকলেও রেশন দিতে হবে ও প্রয়োজনে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা দিতে হবে।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, দেশে মোট ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যাঁদের মধ্যে অনেকেরই রেশন কার্ড নেই।কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য, শুকনো রেশন, নগদ দেওয়া ও যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মাধ্যমে মামলা করা হয়। সেই মামলার আজ শুনানি হয়। সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মন্দার ও জগদীপ ছোকরের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর লকডাউনের মাসগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা আতঙ্ক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে কাটিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি আবারও মাথা তুলেছে।