ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিখ্যাত সাংবাদিক তরুণ তেজপালের (Tarun Tejpa) বিরুদ্ধে। তেহেলকা ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে খারিজ করে দিল গোয়ার আদালত।তরুণের বিরুদ্ধে তাঁর এক সহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি তলাকালীন গোয়ার আদালতের অতিরিক্ত সেশন জাজ ক্ষমা যোশী বেকসুর খালাস দিলেন তরুণ তেজপালকে।
বর্তমানে জামিনে ছিলেন তেজপাল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে এক সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। গোয়ার একচি পাঁচতারা রিসর্টে কনফারেন্স চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই তিনি ম্যাগাজিনের সপ্পাদকের পদ থেকে সরে যান।
আরও পড়ুন : সম্পদ বেড়ে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি
এদিন রায় ঘোষণার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তেজপাল। তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের জন্য আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তবেই এই রায় দিয়েছে আদালত। আমাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছিল। বিগত সাড়ে সাত বছর আমার পরিবারের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। এই মিথ্যা অভিযোগের ফলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতি পদে আমরা যন্ত্রণা ভোগ করেছি।” এদিন করোনায় মৃত তাঁর আইনজীবী রাজীব গোমসকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তেজপাল। বলে রাখা ভাল, এই মামলায় বুধবারই রায় ঘোষণা করার কথা ছিল আদালতের। তবে ঘূর্ণিঝড় তাওকতের জন্য প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় রায়দানে দেরি হয়।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে জামিনে মুক্তি পান তরুণ তেজপাল।এরপর ২০১৭ সালে এই মামলার শুনানি শুরু হয় গোয়ার আদালতে। এর আগে অবশ্য তরুণ তেজপাল বম্বে হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন। এরপর সুপ্রিমকোর্টেই এই আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন সুপ্রিমকোর্টে। তবে শীর্ষ আদালতেও সেই মামলা গ্রহণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গোয়ায় একটি কনফারেন্স চলাকালীন এক সহকর্মী যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে তরুণের বিরুদ্ধে। তাঁর এক মহিলা সহকর্মী অভিযোগ করেন যে গোয়ার এক হোটেলের লিফটে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন ওই সাংবাদিক। এই মর্মে গোয়া পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তরুণ তেজপালকে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় তেজপালের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : নেটমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়া নগ্ন ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন রাধিকা আপ্তে?