উত্তরাখণ্ডে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মঙ্গলবার ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রশ্নই ঘোরপাক খাচ্ছিল গোটা দেরাদুন জুড়ে। কিন্তু সেই জল্পনার অবসান। উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সাংসদ তিরথ সিং রাওয়াত। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। আজ (বুধবার) বিকেল চারটের সময় শপথগ্রহণ করবেন তিনি।
বুধবার সকালে দেরাদুনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বৈঠকে বসেন বিধায়করা। ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, অজয় ভাট, তিরথ-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। নিশাঙ্ক এবং উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। শেষপর্যন্ত তাঁদের ভাগ্যে শিঁকে ছেড়েনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিরথের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সর্বভারতী সভাপতিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাঁরা ছোটো একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা দলের একজন সামান্য কর্মীর উপর ভরসা রেখেছেন। আমি কখনও কল্পনা করতে পারিনি যে আমি এখানে পৌঁছতে পারব। সব মানুষের আশা পূরণের চেষ্টা করব এবং গত চার বছর যে কাজ হয়েছে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
তিনি বর্তমানে গঢ়বাল থেকে লোকসভার সাংসদ। ২০১৩ সালে থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিরথ। এর আগে বিধায়কও ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রচারকেরও কাজ করেছেন তিরথ।
আরও পড়ুন: OTT প্ল্যাটফর্মে পর্নোগ্রাফিও দেখানো হয়! কেন্দ্রকে কড়া নজরদারির ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ
২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ত্রিবেন্দ্রর নেতৃত্বে লড়লে নাকি হেরে যেত বিজেপি। এমনই দাবি ছিল বিধায়কদের। তাই দলীয় বিধাকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। সেই পরিস্থিতির মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌতম এবং ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের মতো কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। তাতে যোগ দিয়েছিলেন ত্রিবেন্দ্র। বৈঠকের জন্য তড়িঘড়ি চামোলি জেলা থেকে দেরাদুনে উড়ে এসেছিলেন ৪৫ জন বিধায়ক।
বৈঠকের পর দিল্লিতে ছুটেছিলেন ত্রিবেন্দ্র। সেখানে বিজেপিরর সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, অমিত শাহ এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যদিও যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই স্পষ্ট হচ্ছিল যে কুর্সি বাঁচাতে পারবেন না ত্রিবেন্দ্র। তারপর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যপাল বেবি রানী মৌর্যের কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলা আট দফায় ভোটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টের