‘লক্ষ্মী নয়, দলের অন্দরেই আছে আসল বেইমানরা!’ একী বললেন তৃণমূল নেত্রী !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাওড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এমন অভিযোগই করলেন বৈশালি ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীরতন শুক্লারও কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে দাবি তাঁর।  Zee ২৪ ঘণ্টাকে বালির তৃণমূল বিধায়ক বলেন,’লক্ষ্মীরতন শুক্লা (laxmi ratan shukla) মিটিং-মিছিল ডাকলে দলের একাংশ সাড়া দিত না। তারা আলাদা মিটিং করত।’

মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে খেলায় ফিরতে চান তিনি। যদিও হাওড়ায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে দলের একাংশের মত।

আরও পড়ুন: মরুভূমির বুকে যশ-নুসরতের দিনযাপন, গেলেন আজমীর শরীফ মাজারে

লক্ষ্মীকে নিয়ে বৈশালী বলেন, ‘২০ বছর ধরে লক্ষ্মীকে চিনি। ও খুব ভালো একজন মানুষ। কিন্তু অপমান আর কাজ করতে দেওয়া না হলে কী করা যাবে আর! দলীয় নেতৃত্ব সবই জানেন, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছু। খারাপ লাগছে এটা ভেবে কালই লক্ষ্মীকে নিয়ে লেখা হবে, ও বেইমান। অথচ দলের যারা ক্ষতি করছেন, ঘুণপোঁকার মতো দলটাকে খেয়ে ফেলছে, তারা বেইমান নয়? এখনই দলীয় তরফে ব্যবস্থা না নিলে মানুষ আর বিশ্বাস করবে না আমাদের দলকে।’

আপনিও কি তবে লক্ষ্মীর পথেই হাঁটবেন? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য খোলসা করেননি বৈশালী। তবে, তিনি যে চুপ করে থাকবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যদিও লক্ষ্মীর মতোই বৈশালীর বিজেপি-যোগ নিয়েও কানাঘুষো কম নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর নিজের গলাতেই দলবিরোধী এমন সুরে, গুঞ্জন আরও বাড়ল।

যে প্রশ্নটা অনেকের মনে পাক খাচ্ছে তা হল ভোটের আগে কী বৈশালীদের চেতনা ফিরছে? বিজেপি যখন তৃণমূল শাসন শেষ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে, তখন বৈশালী ও লক্ষ্মীদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে।শুভেন্দুর অভিমান বোজা যায়নি।তিনি নিজে মুখে বিজেপির প্রতি তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন।অনেকে বলেন, তদন্তকারী সংস্থার চাপ না থাকলে মুকুল হয়ত বিজেপিতে যাবার আগে আরও বহুবার ভাবতেন।

কেউ কেউ বলছেন আসলে পিকে আসার পর দিদিমনি রাজনীতির সব খবর ঠিকঠাক পাচ্ছেন। এতে কিছু টিএমসি নেতার যেমন সুবিধা হচ্ছে, তেমনি কিছু নেতার অসুবিধা হচ্ছে। কেউ কেউ স্পষ্ট বুঝছেন এবার আর টিকিট মিলবে না। ফলে অন্য দলে ট্রাই করতে অসুবিধা কোথায় ! সে কারণে বহু জনের অভিমান ঝরে পড়ছ। বহুজনের জ্ঞান চক্ষু ফুটে উঠছে।

একটা কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে, তৃণমূলে নেতা বানান দিদিমনি। এমন বহু নেতা আছে যারা সত্যি দলটার জন্য কাজ করেছে, কিন্তু তেমন কিছু পায় নি। তাদের এলাকার মানুষ পছন্দ করেন। কাজের মানুষ বলে জানেন। এবার হয়ত তাদের টিকিট পাবার সময়।

আরও পড়ুন: রাজনীতি, হিংসা, টানটান উত্তেজনায় ভরপুর, ‘তাণ্ডব’ করতে আসছেন সইফ আলি খান!

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest