যারা হঠাৎ করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে বিজেপিতে ঢুকছেন, তাদের ক্ষমতা থাকলে নিজেদের দল বানাক। তারপর নীতির কথা বলুক। তা না করে এরা বিজেপিতে গিয়ে ‘ধান্দা’ করতে যাচ্ছে। বাংলার বহু সাধারণ লোক এমনটাই ভাবছেন।
দলবদলের পর গেরুয়া শিবিরের হয়ে লাগাতার সভা করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিটি সভাতেই শুভেন্দুর মূল নিশানায় পিসি-ভোইপো। এদিনও ঝাড়গ্রামের সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়ে ফের শুভেন্দু আরেকবার অভিযোগ করেন, দক্ষিণ কলকাতায় পিসি-ভাইপোর কোম্পানি চলছে।শুভেন্দুকে নাম না করে বেনজির আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে এবার ভুয়ো ‘লাভ জেহাদ’! মুসলিম যুবককে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা তরুণীর
রবিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদকে আরও বলতে শোনা যায়, ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার পর কী দরকার ছিল ২০১৬ সালে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার? তিনটে দফতরের মন্ত্রী ও বেশ কিছু কর্পোরশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও ওনার ‘চাওয়ার শেষ নেই’ এমন কটাক্ষও করতে শোনা যায় তৃণমূল সাংসদকে ।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে ‘আদর্শহীন, বিশ্বাসঘাতক’ এমন বলতেও শোনা গেছে কল্যাণকে। এদিনও শুভেন্দুর প্রতি সেই ধারাই বজায় রাখলেন কল্যাণ। মঞ্চে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ শানাতে ভোলেননি তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূলের নীতি নেই বলে যারা বিজেপিতে যাচ্ছে, তাদের যদি দম থাকে তাহলে নিজের দল বানিয়ে লড়ুন। যেমনটা মমতা করেছিলেন। ভোট সামনে এলেই কিছু নেতা ক্যালকুলেশন শুরু করে দেন। হয়তো টিকিট মিলবে না। হয়ত দলের সুপ্রিমোর কাছে তাদের সম্পর্কে খাঁটি খবর রয়েছে। সে কারণে তারা পালাচ্ছে। আর এই ‘ভাগোরা’ নেতাদের নির্বাচনের আগে দলের পতাকা ধরিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। মাটিতে ঘুরলেই এমন খবর আপনি পাবেন।
আরও পড়ুন: গোমাংস খেয়ে বিপাকে রোহিত এন্ড কোং, আছড়ে পড়ল ফ্যানেদের ট্যুইট সাইক্লোন