করোনা ভাইরাসের ওষুধ কেনার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করল মহারাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। শুক্রবার এই মর্মে জারি হওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা নিরাময়ে অ্যান্টি–ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির ও অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি ওষুধ টসিলিজুমাব কেনার জন্য করোনা রোগীর আত্মীয়কে আধার কার্ডের তথ্য, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, অনুমতি ফর্ম, কোভিড পজিটিভের রিপোর্ট ও ওই আত্মীয়ের যোগাযোগ নম্বর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : পড়াশোনায় সন্তানের অনীহা ? বাস্তু মেনে চললে পেতে পারেন সুরাহা
চলতি করোনা মহামারীর মধ্যে মহারাষ্ট্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ওষুধের কালোবাজারির ঘটনা বাড়ছে। এই নিয়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের অসংখ্য অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জমা পড়ছে। করোনাকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত মুম্বইতে রেমডেসিভির এবং টোসিলিজুমাব ওষুধের ঘাটতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার।
করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই দুই ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সম্প্রতি FDA এবং মুম্বই পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
যদিও কিছু চিকিৎসকদের মতে, করোনা রোগীর আত্মীয়দের কাছে এত নথি চাওয়া অত্যন্ত অন্যায়। মন্ত্রী আচমকা পরিদর্শনে যান বায়কুল্লার মসিনা হাসপাতাল ও ঘাটকোপার খুচরো ওষুধ বিক্রেতা এসকে ডিস্ট্রিবিউটারের দোকানে যান। মন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শনে যাওয়া এফডিএর আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তারা এই দোকানের কেনাবেচা রেকর্ডের মধ্যে কোনও অমিল খুঁজে পাননি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাটকোপার দোকানে ভিড় করা কয়েকশো মানুষের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
এফডিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বৃহস্পতিবার শহরে সিপলা সংস্থার রেমডেসিভিরের ২১০০ বোতল এসে পৌঁছায়, যার মধ্যে ১৬০০ ডোজ গিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে এবং বাকিগুলি গিয়েছে বিএমসি হাসপাতালে। গত সপ্তাহে বিএমসি হেতেরোর কাছ থেকে ৬০০০ বোতল রেমডেসিভির নিয়েছে।
আরও পড়ুন : কুখ্যাত ডন বিকাশ দুবের বায়োপিকে অভিনয় করবেন মনোজ বাজপেয়ী! কী বললেন অভিনেতা?