কাফিলের নামে এনএসএ নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের, মুখ পুড়ল যোগী সরকারের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর এ বার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না। সিএএ বিরোধী একটি ভাষণের জন্য কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্ট বা এনএসএ)-এর আওতায় মামলা করতে চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল যোগী সরকার। সেখানেই মুখ পুড়ল তাদের।

আরও পড়ুন: গেরুয়া শাসনে বিপদ বাড়ছে সংখ্যাগুরুরও,সাবধান না হলে কেঁদে কুল পাবেন না

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এসএ বোবদে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘কোনও ফৌজদারি মামলার বিচার হয় সেই মামলার নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী। অন্য একটি মামলা করে কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক আটক আইন প্রয়োগ করা যায় না। এই মামলায় হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। সেই রায় বহাল থাকুক। এর মধ্যে নাক গলানোর কোনও কারণ দেখি না।’’

সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট কাফিলকে মুক্তি দেয়। বলা হয়, এ ভাবে কাফিলকে আটক করে রাখা ‘বেআইনি’। ‘বেআইনি’ শব্দটিই ব্যবহার করেছিল হাইকোর্ট। এ বার একই রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। এর ফলে যোগী সরকার তথা গেরুয়া বাহিনীর মুখ পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পরেই কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বলা হয়েছিল, বক্তৃতাটি শান্তি বিঘ্নিত করছে। তারপর জামিন পেলেও ফের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-তে কাফিলকে গ্রেফতার করেছিল সরকার।

কেন কাফিলকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল তা নিশ্চয় জনগণ ভুলে যাননি। তিনি নিজের উদ্দ্যোগে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে গোরখপুর হাসপাতালের শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। সবার সামনে স্পষ্ট হয়েছিল যোগী সরকারের হাসপাতালের বেহাল দশা। তাতেই গোঁসা হয় বিজেপির। এরপর থেকেই শুরু হয় প্রতিহিংসার খেলা।

আরও পড়ুন: PM CARES ট্রাস্টে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই, কেন্দ্রের নথিতেই বিস্ফোরক তথ্য

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest