যোগীরাজ্যে ধর্ষিতার গায়ে আগুন জ্বালাল ধর্ষকের কাকা, দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু নির্যাতিতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অপরাধের সঙ্গে আপস না-করায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এক তরুণীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তের কাকা। দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণীর। অভিযোগ, বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও লোকটির ভাইপোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি হননি তরুণী। তার জেরেই বুলন্দশহরের ওই তরুণীকে আগুনে পোড়ানো হয়।

যদিও, পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল, ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকায় অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। পরে মৃত ওই তরুণীর বাবার অভিযোগে জানা যায়, আত্মহত্যা নয়, যোগীরাজ্যের ওই তরুণীর গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। হাথরসের ঘটনার পর আবারও বুলন্দশহরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগীরাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: গুজরাটের ভদোদরায় ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে ১১, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

বুলন্দশহরের এই ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা রফার জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করছিল। ধর্ষণের মামলা যাতে প্রত্যাহার করা হয়, তার জন্য লাগাতার হুমকিও দিচ্ছিল। সেই হুমকির কাছে মাথা না ঝোঁকানোর কারণেই মেয়ের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।

মেয়েটির বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের কাকা বাড়িতে চড়াও হয়ে পেট্রল ঢেলে মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে তরুণীর মৃত্যুর পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনায় নতুন করে সাত জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় এফআইআর রুজু করেছে। এর মধ্যে তিন জন ধর্ষণে অভিযুক্ত।

বুলন্দশহর জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার সন্তোষকুমার সিং জানান, মূল অভিযুক্ত জেলে রয়েছে। তাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ আধিকারিককেও সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এসএসপি জানান, ১৫ অগস্ট ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। এফআইআরে তিনি জানান, গ্রামের আমবাগান পাহারা দিতে আসা তিন জন তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়।

বিচারাধীন হিসেবে সে এখনও জেলে রয়েছে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগপত্রের উল্লেখ করে পুলিশকর্তা জানান, অভিযুক্ত ছাড়াতে তার কাকা ও বন্ধুরা চাপ সৃষ্টি করছিল। হুমকিও দিচ্ছিল। কিন্তু, তরুণী তাতে কর্ণপাত করেননি। তার জেরেই এই ঘটনা।মঙ্গলবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণীকে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওইদিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: ‘বিক্ষুব্ধ’ শুভেন্দুকে কি বোঝানো যাবে ? চেষ্টার কসুর করছে না দিদির দল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest