কোভিড আবহে মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে একাধিক ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে।কিন্তু মারাঠওয়াদা অঞ্চলে সরবরাহ করা ১৫০টি ভেন্টিলেটরের ১১৩টি ভেন্টিলেটর ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় প্রশ্নের মুখে উঠেছে কেন্দ্রের ভূমিকা। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের আওরঙ্গবাদ বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে যে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রতিকারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে উচ্চ আদালত। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে পাঠানো ১৫০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ১১৩টি ‘নষ্ট’, এখনও ৩৭টি খোলা বাকি। হাইকোর্টের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অজয় জি তালহারকে বলা হয় যে, ‘ভেন্টিলেটর জীবন রক্ষাকারী যন্ত্র। কিন্তু এই ত্রুটিযুক্ত মেশিনগুলি রোগীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই অবিলম্বে সমাধানের ব্যবস্থা করুন।’
আরও পড়ুন: ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশ জয়ে কাঁটা করোনা! দিশা খুঁজতে মোদি-শাহের সঙ্গে বৈঠকে RSS
হাইকোর্ট জানতে চাইল, এই খারাপ ভেন্টিলেটর নিয়ে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করেছেওয় আদৌ কোনও সংস্থাকে তলব করেছে কিনা! কারণ কোভিড রোগীদের বাঁচাতে এই ভেন্টিলেটর অত্যন্ত জরুরি। এই পরিস্থিতিতে সেগুলো খারাপ হলে বহু রোগীর প্রাণ যেতে পারে বলে আশঙ্কা হাইকোর্টের।
পিএম কেয়ার্সের টাকায় যে ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ৩৭টি এখনও বাক্স থেকে খোলা হয়নি। খুললে কী হবে, সেই প্রশ্নও থেকেই যাচ্ছে। মহামারি যখন থেকে দেশে থাবা বসিয়েছে, তখন থেকে সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুও দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পরিকাঠামো, সবেরই সমস্যা। এই অবস্থায় কেন্দ্রের পাঠানো ভেন্টিলেটরও বিকল হওয়ায় চাপ বেড়েছে।
রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর ডি আর কালে আওরঙ্গাবাদের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (জিএমসিএইচ) ডিন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিলের মাধ্যমে প্রাপ্ত ১৫০ টি ভেন্টিলেটর সম্পর্কিত নথিগুলির সংকলন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতি ডোজের দাম প্রায় ৬০ হাজার! ভারতের বাজারে এল কোভিড অ্যান্টিবডি ককটেল