ঢাকডোল পিটিয়ে চালু ‘সম্মান’ প্রকল্প, আর মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে ৩ দফায় গণধর্ষণ ১৩ বছরের কিশোরী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মধ্যপ্রদেশে ৩ দফায় মোট ৯ জনের গণধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের কিশোরী। দফায় দফায় অপহরণ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গলের মধ্যে আটকে রেখে তার উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়। হুমকি দেওয়া হয় মেরে ফেলারও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে উমারিয়া জেলায়।

মহিলাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই মুহূর্তে রাজ্যে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘সম্মান’ প্রকল্প অভিযান চালাচ্ছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। তার মধ্যেই এই নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি পরিচিত এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে। এরপর ওই ব্যক্তি এবং তার ৬ বন্ধু মিলে দু’দিন ধরে ধর্ষণ করে। নাবালিকাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, কাউকে জানালে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি দুষ্কৃতীরা। ছয় দিন পর ১১ তারিখ ফের ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে। সে বার ৩ জন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে মেয়েটিকে বন্দি করে রাখা হয়। আটকে রাখা হয় রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকানে।

আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল গোপন নথি, আমেরিকার ভরসায় চিনের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ নিতে চেয়েছিল মোদী সরকার

কিন্তু এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাস্তায় দুই ট্রাক চালকের হাতে পড়ে নির্যাতিতা। তাঁরাও মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ওই কিশোরী। শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে সে। বাড়ির লোকজনই পরে পুলিশে খবর দেন।

মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র অরবিন্দ তিওয়ারি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘যৌন নির্যাতন, শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের নাগাল পাওয়া গিয়েছে।’’

গত ১৫ দিনে একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো কোণঠাসা শিবরাজ সিংয়ের সরকার। গত ৯ জানুয়ারি সিধি জেলায় বছর আটচল্লিশের পৌঢ়াকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ করে ৫ দুষ্কৃতী। অভিযোগ, যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। তার ঠিক দু’দিন পর ১১ জানুয়ারি খাঁদোয়া জেলায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পরের দিন এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহিলার নাক, স্তন কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইনদওরের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা।

আরও পড়ুন: প্রতিবাদী কৃষক নেতাদের তলব NIA-র, ক্ষুব্ধ অকালি দল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest