পাবজির নেশা কাড়লো আরও একটা প্রাণ। এবার বিদেশ নয়। ঘটনাটি দেশেরই । দিনের পর দিন খাওয়া-দাওয়া নেই। স্নানপর্ব তো সেই কবেই মিটে গিয়েছে। এমনকী জলপান অবধিও ভুলে মেরেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬ বছরের সেই ছেলেটা। বারংবার বাবা-মায়ের বারণ সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি সে। শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল তরতাজা একটা জীবন।ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরু শহরের।
১৬ বছরের সেই ছেলেটি পড়াশোনা ভুলে মেতেছিল পাবজি-তে। এতটাই মেতেছিল যে, দিনের পর দিন খাওয়া-দাওয়া অবধি বন্ধ করে দেয়। পাবজি খেলতে-খেলতে একদিন বাড়িতেই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। আর তারপরই তার মা-বাবা তড়িঘড়ি তাঁদের পুত্রকে নিয়ে যান হাসপাতালে। ডাক্তারেরা জানান যে, ছেলেটির ডায়েরিয়া হয়েছে। সেই হাসপাতালেই বেশ কিছু দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর গত সোমবার মৃত্যু হয় ছেলেটির।
আরও পড়ুন : উপরে উঠছে জলপ্রপাতের জল! হচ্ছে রামধনু, ভিডিয়ো দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা
চলতি বছরে জানুয়ারি মাসেই ঠিক এমনই এক কাণ্ড ঘটেছিল। পুণেতে পাবজির নেশায় মত্ত ২৫ বছরের এক যুবক মারা যান। ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন যে, অতিরিক্ত গেম খেলার জন্যই ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর।
এর আগেও বহু বারই এই গেম প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। তবে এই পাবজি-র নেশায় সব থেকে বেশি আসক্ত পড়ুয়ারাই। আর দেশজুড়ে নানান সময়ে পাবজির নেশায় প্রাণ হারিয়েছে পড়ুয়ারাই।
গেমাররাই অনেক জানিয়েছে পাবজি আসলে এমন খেলা যা শেষ হবার পরও ব্রেনে থেকে যায়। ব্রেনকে তা বারবার ডিসটার্ব করতে থাকে। ভুল খেললে ভিতরে প্রচন্ড কষ্ট হয়। জয়ী হবার জেড চেপে যায় মনে। পুরো খেলাটাও আসলে খুন-খারাবি। এরা অনেকেই স্বপ্নেও পাবজি খেলে। ঘুম ভেঙে চিৎকার করে ওঠে। ঘুমের ঘরেও মার মার করে ওঠে।
আরও পড়ুন : রিলায়েন্স, আদানিরা সরাসরি ভোটে দাঁড়ালে তো পারে, তাতে ‘আত্মনির্ভরতা’ বাড়ে !