The News Nest: রাজ্যসভার নির্বাচন৷ আর তাকে কেন্দ্র করেই ফের ঘোড়া কেনাবেচার ভয়৷ আগাম সতর্ক হয়ে নিজেদের ২১ বিধায়ককে তাই গুজরাত থেকে রাজস্থানে নিয়ে এসে রিসর্টে বন্দি করে ফেলল কংগ্রেস৷ তাদের অভিযোগ, দলীয় বিধায়কদের নিজেদের শিবিরে টানার জন্য প্রলোভন দেখাচ্ছে বিজেপি৷
কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিক ভাবে ২৬ জন বিধায়ককে রাজস্থানের মাউন্ট আবুর নিকটবর্তী ‘ওয়াইল্ড উইন্ডস’ নামের ওই রিসর্টে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, যেহেতু রাজস্থান কংগ্রেস শাসিত তাই সেখানে নিরাপদেই থাকবেন কংগ্রেস বিধায়করা।
আরও পড়ুন : শিবসেনার আক্রমণ, তড়িঘড়ি উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন সোনু সুদ
কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, বিধায়কদের কাছে টানতে টোপ দিচ্ছে বিজেপি। পদ্ম-শিবিরের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে তারা। কংগ্রেসের অনেক বিধায়ককেই বিভিন্ন রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। সৌরাষ্ট্রের এক দল বিধায়ককে রাজকোটের ‘নীল সিটি’ নামে একটি রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু বিধায়ককে আনন্দের কাছে একটি রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৯ জুন রাজ্যসভার চারটি আসনের জন্য নির্বাচন রয়েছে৷ তার আগেই কংগ্রেস শিবিরের হৃদকম্পন বাড়িয়ে ইস্তফা দেন দলের তিন বিধায়ক৷ ফলে ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৫৷
দলে ভাঙন আটকাতে প্রথমে দলীয় বিধায়কদের রাজকোট, আমবাজি এবং আনন্দের তিনটি রিসর্টে নিয়ে গিয়ে রাখেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এরই মধ্যে কংগ্রেস বিধায়কদের যে রিসর্টগুলিতে রাখা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি রিসর্টের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধিভঙ্গ করে কংগ্রেস বিধায়কদের রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়৷ এর পরই ওই রিসর্ট থেকে ২১ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজস্থানের আবু রোডের একটি রিসর্টে এনে তোলা হয়৷ গুজরাতের বনসকথা জেলার সীমান্ত লাগোয়া রাজস্থানের সিরোহি জেলায় রয়েছে ওই রিসর্টটি৷
গুজরাতের কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভদার অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছে গুজরাতের বিজেপি সরকার৷ তাঁর অবশ্য দাবি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতেই এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা৷ বিজেপি অবশ্য ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷
আরও পড়ুন : যোগী রাজ্যে দলিত হত্যা, ইটের আঘাতে বাবা ও ছেলেকে খুন করল দুষ্কৃতীরা