এই প্রথম যুদ্ধজাহাজে যোগ দিচ্ছেন দুই মহিলা অফিসার, রচিত হল ইতিহাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইতিহাস সৃষ্টি করে এই প্রথম যুদ্ধজাহাজে দুই মহিলা অফিসারকে মোতায়েন করছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শীঘ্রই নৌসেনায় যোগ দেবে ২৪টি এমএইচ-৬০ আর সামরিক হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারে পাইলট হিসেবে কাজ করবেন দুই সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী, রীতি সিংহ। দুই অফিসারকে যুদ্ধজাহাজে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ-সহ সংশ্লিষ্ট মহল।

বছর চারেক আগে মহিলা অফিসারদের যুদ্ধবিমান ওড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা কেটেছে। এ বার ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজেও (Warship)  নিজেদের সাফল্যের চিহ্ন রাখলেন দুই মহিলা, সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী ও সাব লেফটেন্যান্ট রীতি সিং।

আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীতে সেক্স র‍্যাকেট চলে! অগ্নিমিত্রার মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন দলেরই সহকর্মী

প্রথা ভেঙে সোমবার কোচিতে আইএনএস গরুড় যুদ্ধজাহাজে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের এই নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কুমুদিনী ও রীতিকে অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যান্টনি জর্জ বলেন, ‘‘এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই প্রথম মহিলাদের হেলিকপ্টার অপারেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যার মাধ্যেমে যুদ্ধজাহাজে মহিলা অফিসারদের মোতায়েনের সূচনা হল।’’

সোমবার যুদ্ধজাহাজের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হল তাঁদের, যা ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম বার। এর আগে নৌবাহিনীর বিভিন্ন পদে মহিলাদের নিয়োগ করা হত। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধজাহাজে তাঁদের নিয়োগ করা হত না। ফলে ভারতের ইতিহাসে প্রথম বার এমন ঘটনা ঘটল। কুমুদিনী ও রীতি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আগে মনে করা হত, নৌবাহিনীর জাহাজে মহিলাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থাকবে না। ক্রু কোয়ার্টারে মহিলাদের জন্য আলাদা কোনো শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই তাঁদের যুদ্ধজাহাজে নিয়োগ করা হত না।

কুমুদিনী ও রীতি নৌসেনার মাল্টি রোল হেলিকপ্টার অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সেন্সর, সোলার কনসোল এবং ইন্টেলিজেন্স, সার্ভিল্যান্স ও সমন্বয়ের কাজ কাজ করবেন। ২০১৮ সালে নির্মলা সীতারামন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকার সময় ২৪টি এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টার কেনার বরাতের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল। নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরে ওই হেলিকপ্টার ওড়াবেন তাঁরা। প্রতিপক্ষ বা শত্রুপক্ষের জাহাজ ও সাবমেরিনের অবস্থান নির্ধারণ করা এবং ধ্বংস করার কাজে পারদর্শী এই হেলিকপ্টারগুলি।

আরও পড়ুন : ‘তবলিঘি জামাতের জমায়েত থেকেও করোনা ছড়িয়েছে’, সংসদে জানাল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest