৩৩ বার ম্যাট্রিকে ফেল করে করোনার দৌলতে পাশ প্রৌঢ়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সুকুমার রায় পাত্র গঙ্গারামের বায়োডাটা দিতে লিখেছিলেন ১৯ টি বার ম্যাট্রিকে সে ঘায়েল হয়ে থামলো শেষে। কিন্তু যিনি যে তারও উপর দিয়ে যান। ৩৩ বারে দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি নুরউদ্দিন।

অবশেষে করোনার দৌলতে মিলল সাফল্য। ম্যাট্রিক পাশ করলেন হায়দরাবাদের মহম্মদ নুরউদ্দিন। করোনার জেরে পরীক্ষা নেওয়া শেষ হয়নি। তাই গণ পাশের পথে হেঁটেছে তেলেঙ্গানা সরকার। তাই নুরুদ্দিনেরও ফেলে অপবাদ ঘুচল।

আরও পড়ুন : সুন্দর ত্বক পান প্রাকৃতিকভাবেই! জানুন ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মুলতানি মাটির ব্যবহার…

নুরউদ্দিন বলেন যে ১৯৮৭ থেকে তিনি পাশ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি জানান যে তাঁর আত্নীয়দের সাহায্য নিতেন প্রত্যেক বার পরীক্ষা দেওয়ার আগে, কিন্তু একবারও শিকে ছিঁড়ত না। ইংরেজিতে দুর্বলতার জন্যেই তিনি পাশ করতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন নুর।

এবার পরীক্ষার ফর্ম ভরে তিনি ঠিক করেছিলেন আর নয়। এবারই শেষ। এবার হলে হবে, নয়তো আর চেষ্টা করবেন না। কাকতালীয় ভাবে এবারই পরীক্ষা হল না। ফলে ৫১ বছরের নুর পাশ করলেন মাধ্যমিক।

ঘটনাটি থেকে কয়েকটি জিনিস শেখার আছে। প্রথমত, শিক্ষা গ্রহণের বয়স হয় না।দ্বিতীয়ত, একবার বার্থ হলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। আবার চেষ্টা করতে হবে। তৃতীয়ত, সব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ভালো কিছু থাকতে পারে বলে মনে করতে হবে। করোনা না এলে হয়ত নুরুদ্দিনকে ফের ফেল করতে হত।

নুরুদ্দিনের ব্যার্থতা নয়, এই ইউজ এন্ড থ্রোর যুগে তাঁর এই ধৈর্য আগামী প্রজন্মের কাছে নজির হওয়া উচিত। হার না মানা এই মনোভাবকে ধরে রাখতে হবে। একটা ব্যার্থতাতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে চলবে না।

আরও পড়ুন : প্রযুক্তি নির্ভর আজকের দিনে কুরবানী কী আদৌ প্রাসঙ্গিক?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest