পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে করোনা আক্রান্ত ৪০০ সেবায়েত ও আধিকারিক!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা সংক্রমণের থেকে খানিক সামলে উঠেছিল ওড়িশা । কিন্তু ফের বড় ধাক্কার সম্মুখীন নবীন পট্টনায়কের রাজ্য। জানা গিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রায় ৪০০ জন সেবায়েত এবং আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। ওড়িশা সরকার হাই কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে এখনই রাজ্যের ধর্মস্থান খোলার কথা ভাবা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, মার্চ মাস থেকেই ভক্তদের জন্যে বন্ধ করা হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মস্থান ।

হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সরকারের তরফে জানানো হয়, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে যথেষ্ঠ জাগয়া নেই। ফলে এখনই মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হলে বেড়ে যাবে করোনা সংক্রমণ।

আরও পড়ুন : BREAKING: করোনা আক্রান্ত উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু!

আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকার এও জানিয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের মোট ৩৫১ জন সেবায়েত এবং ৫৩ জন আধিকারিক সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছে বহু সেবায়েতের। তার মধ্যে রয়েছেন মন্দির ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য প্রেমানন্দ দাশমহাপাত্রও।

প্রতিদিন একাধিক সেবায়েত করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, জগন্নাথের নিত্য পুজোর জন্যেও সেবায়েত পাওয়া যাচ্ছে না। মন্দিরের এক সেবায়েত জানিয়েছেন, ‘একাধিক সুয়ার, মহাসুয়ার, দ্বৈতাপতি এবং পুজো পান্ডা করোনা আক্রান্ত। যদিও মন্দিরের সব নিয়ম আচার মেনে চলা হচ্ছে, কিন্তু এখনই যদি মন্দির খোলার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে।’ উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পুরী জেলাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৭০৪ জন।

জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেবায়েতদের জন্যে মজুত রাখা হবে ভেন্টিলেটর সহ অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও আক্রান্তদের উপর নজরদারির জন্যে তৈরি রাখা হচ্ছে দুটি দল। আক্রান্তরা সঠিকভাবে আইসোলেশনের নিয়ম মেনে চলছেন কি না তা খতিয়ে দেখবে এই দুই দল।

আরও পড়ুন : সমীক্ষা বলছে পুরুষের থেকে পছন্দ একেবার আলাদা! জেনে নিন কেমন পর্নোগ্রাফি দেখে মেয়েরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest