নারকীয়! যোগী-রাজ্যে ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, শরীর থেকে বের করে নেওয়া হল যকৃৎ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সাত বছরের নাবালিকার উপর নারকীয় অত্যাচারের সাক্ষী থাকল কানপুর। ধর্ষণ করে খুন করার পর কেটে নেওয়া হল যকৃৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি অঙ্গ। যোগী-রাজ্য সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছিল নারী নির্যাতনের জন্য। সেই হাথরাসের পর এবার কানপুরে ঘটল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।

সোমবার পুলিশ জানায়, শিশুটি গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে তাকে খুন করে তার ফুসফুস উপড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কালা জাদু করার জন্য ফুসফুসগুলি ওইভাবে বার করে নেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিশ্বাস, শিশুর ফুসসুস এক বন্ধ্যা নারীকে গর্ভবতী হতে সাহায্য করবে।

দেওয়ালির সন্ধ্যায় ঘাতামপুর অঞ্চল থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। রবিবারই গ্রেফতার হয় দুই দুষ্কৃতী। একজনের নাম অঙ্কুল কুরিল। বয়স ২০। অপরজনের নাম বীরন। বয়স ৩১। শিশুটির ফুসফুস উপড়ে এনে তারা পরশুরাম কুরিল নামে এক ব্যক্তিকে দেয়। সেই কালা জাদু করে। এএসপি (রুরাল) ব্রজেশ শ্রীবাস্তব একথা জানিয়েছেন। পরশুরামকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। পুলিশের ধারণা, তিনি ওই অপরাধের কথা জানতেন। কিন্তু গোপন রেখেছিলেন।

আরও পড়ুন: বিজেপিকে বেশি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ফের বিহারের মসনদে ‘দুর্বল’ নীতীশ

পরশুরাম প্রথমে উল্টোপাল্টা বলে পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে বলেন, ১৯৯৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছে। এখনও সন্তান হয়নি। তাই তিনি ভাইপো অঙ্কুল ও তার বন্ধু বীরমকে অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন একটি শিশুর ফুসফুস উপড়ে এনে তাঁকে দেয়। তার সাহায্যে কালা জাদু করে তিনি সন্তানের পিতা হতে পারবেন।

শনিবার মেয়েটির বাড়ির লোকজন যখন দীপাবলী উৎসব পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার বাড়ির লোকেরা আশপাশে তাকে খোঁজাখুজি করে। জঙ্গলের মধ্যেই ফ্ল্যাশ লাইট নিয়ে তাকে খোঁজে। কিন্তু তখন তাকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে জঙ্গলের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গ্রামবাসী তার দেহটি দেখতে পায়।

জানা গিয়েছে, শিশুটি যখন বাজি কিনতে বেরোয় সেই সময় অঙ্কুল ও বীরন তাকে অপহরণ করে। তারা মত্ত অবস্থায় ছিল। তারা শিশুটিকে খুনের আগে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসোয় মামলা করা হয়েছে। কানপুর পুলিশের ডি আই জি প্রীতিন্দর সিং বলেন, তদন্তের কাজে ফরেনসিক এক্সপার্টরা সাহায্য করছেন। স্নিফার ডগও আনা হয়েছে। কালা জাদুর জন্যই যে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল, তার প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হাওড়ার বধূ এখন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest