একমাত্র ছেলের মৃত্যু পথ দুর্ঘটনায়,৩২ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন এই বৃদ্ধ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শীত হোক কিংবা বর্ষা। দিন হোক বা রাত, দিল্লির (Delhi) সিলমপুরের রাস্তায় গেলেই দেখা মিলবে এক বৃদ্ধের। কখনও হাত নেড়ে, কখনও আবার চিৎকার করে নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এভাবেই কাজ করে চলেছেন তিনি। গত ৩২ বছর ধরে এটাই তাঁর রোজনামচা। এমনকী করোনা (Corona) কিংবা লকডাউনও তাঁর কাজের পথে বাধা হতে পারেননি। অথচ এই কাজের জন্য এক টাকাও পারিশ্রমিক নেন না গঙ্গারাম নামে ওই বৃদ্ধ। আসলে তাঁর এই কাজের পিছনে রয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা।

কিন্তু বেতন ছাড়া কেন এমন করে চলেছেন তিনি? গঙ্গারাম জানিয়েছেন, একসময়ে তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। সকলের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিভি, ফ্রিজ, পাখা ঠিক করতেন। গঙ্গারামের সঙ্গে সেই কাজে যোগ দিয়েছিল তাঁর ছেলেও। কিন্তু হঠাতই একদিন ওলটপালট হয়ে যায় সব। পুলিশ এসে তাঁর ছেলের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর দেয়। তারপর থেকেই গঙ্গারামের জীবনটা বদলে গেল।

আরও পড়ুন: জাপানি লেখকের চরিত্র থেকে ‘অনুপ্রেরণা’, মা-দাদাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা ১৪ বছরের কিশোরীর

কিছুদিন পর ছেলের শোকে চিরবিদায় নিলেন তাঁর স্ত্রীও। নিঃসঙ্গ জীবন শুরু হল গঙ্গারামের। তখনই ঠিক করেন, যে পথ দুর্ঘটনা তাঁর জীবনটাকে তছনছ করে দিল, তার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াবেন তিনি। তারপর থেকে প্রতিদিন হাতে লাঠি নিয়ে, পুলিশের মতো করে ইউনিফর্ম পরে সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করেন গঙ্গারাম। সেই সিলমপুরের ট্রাফিক সিগন্যালেই।

আর এভাবেই কেটে গেল ৩২ বছর! ৭২ বছর বয়সেও ক্লান্তি নেই তাঁর। পথ দুর্ঘটনায় কারণে যাতে আর কোনও মায়ের কোল খালি না হয়, সেই চেষ্টাই করে যান তিনি। দিনের পর দিন কাজে সাহায্য করার পুরস্কার হিসেবে পুলিশের থেকে একটি মোবাইল ফোন উপহার পেয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের থেকে পেয়েছেন সংবর্ধনাও। কিন্তু তাতেই তাঁর কাজ থেমে নেই। যতদিন শরীর দেবেন, ততদিন এভাবেই ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে কাজ করে যেতে চান তিনি।

আরও পড়ুন: অংশ নেবে চিন-পাকিস্তান, রাশিয়ায় সামরিক মহড়া থেকে সরে এল ভারত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest