টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চিকিৎসকের। দিল্লির এক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ওই একই হাসপাতালে গত এক মাসের মধ্যে ৮০ জনের বেশি চিকিৎসাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
মৃত চিকিৎসক এ কে রাওয়াতের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। করোনার টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন তিনি। সরোজ হাসপাতালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পিকে ভরদ্বাজ বলেন, “ও আমার বড় ছেলের মতো ছিল। মৌলানা আজ়াদ কলেজ থেকে সে এমএস সার্জারি পাশ করেছিল। সেই ১৯৯৪ সাল থেকে শেষদিন পর্যন্ত আমার ইউনিটেই ছিল অনিল। শেষ পর্যন্ত ওঁর বিশ্বাস ছিল সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিছুদিন আগেও বলেছিলেন,আমার তো কিছু হওয়ার কথা নয়, আমার প্রতিষেধক নেওয়া আছে।” ১০-১২ দিন আগে অনিলের শরীরে বাসা বাঁধে করোনাভাইরাস। প্রথমে হোম আইসোলেশনেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু পরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অনিলকে। কিন্তু আর ফেরা হল না।
আরও পড়ুন: অসংবেদনশীল নেতৃত্বের হাতে পঙ্গু ভারত, মোদী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ সনিয়ার
টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় বাড়ছে চিন্তা। অনেক চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী দুই ডোজ় নিয়ে থাকা সত্ত্বেও শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ছে। কিন্তু এটাই প্রথম কোনও সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় মৃত্যু, এ কথা জানান পিকে ভরদ্বাজ। একইসঙ্গে হাসপাতালের বহু কর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরও দিয়েছেন তিনি। একটি জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, গত এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত ওই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কম করে ৮০ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
দিল্লিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম। দু’টি খবরই তাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজধানীতে। উল্লেখ্য, গত মাসে এই বেসরকারি হাসপাতালই অবিলম্বে অক্সিজেন সরবরাহ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মোদীর ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য, কঠোর সম্পাদকীয় ল্যানসেটে