লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছিল কেন্দ্র। সেই ট্রেনে যাত্রাকালীন ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানালো কেন্দ্র।
এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়ান। উত্তরে পীযূষ গোয়েল বলেন যে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ময়নাতদন্ত হয় ৮৭টি কেসে। তার মধ্যে ৫১জনের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিশের থেকে মিলেছে। মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হেমারেজ, লিভার ফেলিওর ইত্যাদি। ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেছিলেন লকডাউনের সময় কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তার কোনও হিসেব সরকারের কাছে নেই।
আরও পড়ুন: ইচ্ছে মত ট্রেনের ভাড়া নিতে পারবে বেসরকারি সংস্থা, জানাল সরকার
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ওই তথ্য দেওয়া পর সরব হন রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাহুল টুইট করেন, হিসেব নেই মানে এই নয় যে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। পাশাপাশি মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, গতকাল লোকসভায় লিখিতভাবে সরকার জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর সংখ্যা কেন্দ্রের কাছে নেই। তাই এখনও পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বেরও প্রয়োজন নেই।
এদিকে চার দিনের মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন প্রশ্ন তোলেন, লকডাউনের সময়ে শ্রমিক স্পেশালে কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল তার তথ্য দিক সরকার। সেই প্রশ্নের উত্তরে শনিবার ওই তথ্য দেন রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ৯৭টি মৃত্যু ঘটনার ক্ষেত্রে ৮৭ জনের দেহ পোস্ট মর্টেমে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৫১টি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। ওইসব ক্ষেত্রে মৃত্যু কারণ হিসেবে কোথাও হার্টের রোগ, কোথাও মস্তিস্কে আঘাত, পুরনো রোগ, লিভারের অসুখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পয়লা মে থেকে অগস্ট ৩১ অবধি ৪৬২১টি ট্রেন চালিয়েছে কেন্দ্র। বাড়ি ফিরেছেন ৬৩.১৯ লাখ মানুষ। অন্য একটি প্রশ্নের উত্তর পীযূষ গোয়েল বলেন যে শ্রমিক ট্রেনে অপ্রতুল জল ও খাদ্য নিয়ে ১১৩টি অভিযোগ পেয়েছিল আইআরসিটিসি।
আরও পড়ুন: বাংলা ও কেরালায় ফাঁস আল কায়দা মডিউল, NIA-এর জালে ৯ জঙ্গি